মাগুরা শহর: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর, খুলনা বিভাগের মাগুরা জেলার সদর। নবগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরটি জেলার প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রবিন্দু। খুলনা, কুষ্টিয়া ও যশোরের পর খুলনা বিভাগের চতুর্থ বৃহত্তম শহর হিসেবে মাগুরা পরিচিত। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ১,১৪,০৫৪। পুরুষ ও নারীর অনুপাত প্রায় সমান। শহরটির অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ যথাক্রমে ২৩°২৯′০৮″ উত্তর ও ৮৯°২৫′১১″ পূর্ব। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর গড় উচ্চতা ১২.১৯ মিটার।
১৯৭২ সালে মাগুরা পৌরসভা গঠিত হয় শহরের নাগরিকদের সেবা প্রদানের জন্য। ৪৪.৩৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড ও ৬১টি মহল্লায় বিভক্ত। মাগুরা শহরের সাক্ষরতার হার ৬৬% এর বেশি, এবং এটি বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরমুক্ত শহর হিসাবে পরিচিত। মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শহরের প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শহরটিতে সড়কপথে ঢাকা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা প্রভৃতি স্থানের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। নিকটতম বিমানবন্দর হল যশোর বিমানবন্দর এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
ঐতিহাসিক দিক থেকে, মাগুরার ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। এখানে রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ, বিরাট রাজার বাড়ি, পীর তোয়াজউদ্দিনের মাজার, চন্ডীদাস ও রজকিনীর ঐতিহাসিক ঘাট, কবি কাজী কাদের নেওয়াজের বাড়ি, সিদ্ধেশ্বরী মঠ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। মাগুরার নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ প্রচলিত আছে, কেউ কেউ মনে করেন মগ দস্যুদের কারণে এর নামকরণ হয়েছে, আবার কেউ বলেন প্রচুর মাগুর মাছ পাওয়ার কারণে। মহান মুক্তিযুদ্ধেও মাগুরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিখ্যাত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের জন্মস্থানও মাগুরা। অর্থনৈতিকভাবে, কৃষিকাজ, ছোটো-খাটো শিল্প, এবং বাণিজ্য মাগুরার অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। তবে মাগুরা শহরের আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমরা আপনাকে পরে জানাবো যখন আরও তথ্য উপলব্ধ হবে।