মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৬ এএম

মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ, ইসলামি বক্তা, লেখক ও অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ছিলেন। নাস্তিক ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য এবং আন্দোলনের নেতৃত্বের জন্য তিনি বিশেষভাবে আলোচিত। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাসহ অসংখ্য মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি ১৯৭৩ সালের নভেম্বরে ঢাকার আজিমপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আজিজুল হক ছিলেন একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও ‘শায়খুল হাদিস’ নামে সমাধিক পরিচিত। তিনি জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকা থেকে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেছেন। তিনি জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকার শায়খুল হাদিস হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০০০ সালে ‘মাহাদুত তারবিয়্যাতুল ইসলামিয়া’ নামে একটি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিবন্ধ লিখেছেন। ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হেফাজত আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ভাস্কর্য ভাঙ্গচুর, রাষ্ট্রদ্রোহ, এবং অন্যান্য অভিযোগ উঠেছে। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে একজন নারীর সাথে অবস্থান করার ঘটনা তাকে আরও বিতর্কে জড়িয়ে দেয়। তিনি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভাস্কর্য ও মূর্তির বিরোধিতা করেছেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যসহ সব ভাস্কর্য অপসারণের মতামত ব্যক্ত করেছেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ ও বক্তা।
  • তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ছিলেন।
  • তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাথে যুক্ত ছিলেন।
  • তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে।
  • তিনি ভাস্কর্য ভাঙ্গচুর ও অন্যান্য বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য পরিচিত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।