মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের: বাংলাদেশের তাবলীগ জামাতের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি তাবলীগ জামাতের ‘শুরায়ে নেজাম’ দলের প্রধান। সাম্প্রতিককালে, তাবলীগ জামাতের ‘সাদ কান্ধলভী’ অনুসারীদের সাথে তাঁর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে জোবায়েরপন্থীদের ওপর সাদপন্থীদের হামলায় অন্তত চারজন নিহত এবং কয়েক শ অনুসারী আহত হন। ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীদের কাকরাইল মসজিদের আশপাশে কোন বড় জমায়েত করতে নিষেধ করেছে। তাদের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান সরকারের নির্দেশ অমান্যের দায় অনুসারীদের নিতে হবে বলে জানিয়েছেন। মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের ঢাকার টঙ্গীসহ দেশের কোথাও ইজতেমা করতে না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এবং তাদেরকে তাবলীগ জামাতের সাথে সম্পৃক্ত মনে করেন না। ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম উপদেষ্টা জোবায়েরপন্থী ওলামা-মাশায়েখদের সাথে বৈঠক করেছেন, যেখানে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সমস্যার সমাধানের সময় চাওয়া হয়েছে। এর ফলে, বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্ব মাওলানা জোবায়েরপন্থীরা ও দ্বিতীয় পর্ব মাওলানা সাদপন্থীরা আয়োজন করবে। তবে, মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেওয়ার দাবি সাদপন্থীরা জানিয়ে আসছেন। জোবায়েরপন্থীরা কাকরাইল মসজিদের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকার দাবি জানিয়েছেন এবং মসজিদের জমির খাজনা-খরিদা মাওলানা জোবায়ের আহমদের নামে পরিশোধের তথ্য উল্লেখ করেছেন।
মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা তাবলীগ জামাতের ‘শুরায়ে নেজাম’ দলের সাথে জড়িত এবং তারা মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষে জড়িত থাকার কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে সংযত থাকার জন্য নির্দেশ জারি করেছে। ২০১৮ সালের টঙ্গী ইজতেমায় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় যাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তারা কাকরাইল মসজিদের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকার দাবি জানিয়েছেন।