মাইনী নদী

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:৪৫ পিএম

মাইনী নদী: পাহাড়ি অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী

বাংলাদেশের পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার মধ্য দিয়ে বয়ে চলা একটি সর্পিলাকার নদী হলো মাইনী নদী। ১০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬২ মিটার গড় প্রস্থের এই নদীটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর তালিকায় পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী নং ০৫ হিসেবে পরিচিত।

মাইনী নদী দীঘিনালা ও লংগদু উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে কাপ্তাই লেকে মিলিত হয়েছে। এই নদীটি দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নদীটির তীরে অসংখ্য গ্রাম, বাজার ও জনপদ গড়ে উঠেছে। চিরসবুজ পরিবেশের মাইনী নদীর দুধারে সবুজের সমারোহ, ধান ও নানা রকমের সবজির চাষ, নদীর পানি থেকে মৎস্য আহরণ— এ সবই ছিল এ অঞ্চলের অর্থনীতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

কিন্তু সম্প্রতি মাইনী নদী দূষণ ও অপব্যবহারের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে। তামাক চাষের বর্জ্য, কীটনাশক এবং রাসায়নিক বর্জ্য নদীর পানিতে মিশে পানির গুণাগুণ নষ্ট করছে। মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে এবং পানিও দূষিত হচ্ছে। পাহাড় ক্ষয়ের ফলে নদীর নাব্যতা কমছে এবং তীর ভাঙন বেড়ে যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মাইনী ও চেঙ্গী নদীতে ড্রেজিং এর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর গভীরতা ও প্রশস্ততা বৃদ্ধি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষিজমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য করা হচ্ছে। নদী খননের মাটি দিয়ে অনাবাদী জমি ভরাট করে চাষাবাদের উপযোগী করা হচ্ছে।

তবে, পাহাড়ি ঢলের ফলে নদীতে ভেসে আসা গাছ ও পাথর ড্রেজিং কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন ২০২৫ সালের জুনে হওয়ার কথা। মাইনী নদীর ভবিষ্যৎ রক্ষায় এবং এ অঞ্চলের মানুষের জীবিকার উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা আপনাকে আরও তথ্য দিয়ে এই লেখাটি সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করবো যখন আরও তথ্য পাওয়া যাবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মাইনী নদী বাংলাদেশের পূর্ব পাহাড়ি অঞ্চলের রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত।
  • এটি ১০৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬২ মিটার গড় প্রস্থের একটি সর্পিলাকার নদী।
  • নদীটি দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
  • সম্প্রতি দূষণ ও অপব্যবহারের কারণে মাইনী নদী হুমকির মুখে।
  • নদীর সংরক্ষণ ও অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।