গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ছাপরহাটি এলাকার কমলা চাষি মলয় কুমার লিটন (৪৫) একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাজারে গানের সিডি/ক্যাসেট বিক্রি ও রেকর্ডিংয়ের ব্যবসা করতেন। ২০০৮ সালে তিনি তার পৈতৃক ৮০ শতাংশ জমিতে (প্রায় আড়াই বিঘা) ফুলের নার্সারি হিসেবে একটি বাগান শুরু করেন। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর কারণে ফুলের ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে, তিনি বাগানে ‘চায়না’ কমলার চাষ শুরু করেন। নিবিড় পরিচর্যায় ২০২২ সালে গাছে ফল আসে এবং তিনি বাণিজ্যিকভাবে কমলা বিক্রি শুরু করেন। তিন সপ্তাহ ধরে প্রতি কেজি কমলা ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর তিনি প্রায় আড়াই লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেছেন। কমলার চাষ ছাড়াও, তার বাগানে রয়েছে কাটিমন জাতের আম, বরই, সফেদা, জাম্বুরা এবং ২ হাজার বস্তায় আদা। লিটনের কমলাবাগান গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে সুন্দরগঞ্জের ধর্মপুর বাজার পৌঁছে সেখান থেকে দেড় কিলোমিটার পশ্চিম দিকে অবস্থিত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গাইবান্ধার উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম লিটনের বাগানের চায়না কমলার ফলনকে ভালো বলে উল্লেখ করেছেন।
মলয় কুমার লিটন
মূল তথ্যাবলী:
- মলয় কুমার লিটন গাইবান্ধার একজন সফল কমলা চাষি
- তিনি ২০০৮ সালে ফুলের নার্সারি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন
- করোনাকালে কমলার চাষ শুরু করে সফলতা পান
- তার বাগানে চায়না ম্যান্ডারিন কমলা চাষ হয়
- তিনি প্রায় আড়াই লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেছেন
গণমাধ্যমে - মলয় কুমার লিটন
১ জানুয়ারী ২০২২, ৬:০০ এএম
মলয় কুমার লিটন ২০২০ সালে করোনা মহামারীর পর কমলা চাষ শুরু করেন এবং ২০২২ সালে প্রচুর ফলন পান।