খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী: ভারতীয় উপমহাদেশের ইসলাম প্রচারে অসামান্য অবদান রেখে যাওয়া এক কিংবদন্তীময় ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একজন পারসিক সুন্নি মুসলিম প্রচারক, সৈয়দ, তপস্বী, ধর্মীয় পণ্ডিত, দার্শনিক, সুফি সাধক এবং সিস্তানের রহস্যবাদী। ১১৪২ খ্রিস্টাব্দে পূর্ব পারস্যের সিস্তান রাজ্যের সানজারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ বছর বয়সে পিতা-মাতা হারান। তার পিতার নাম ছিল গিয়াসউদ্দিন এবং মাতার নাম বিবি উম্মালওয়ারা (বিবি মাহে-নূর)। তিনি উইন্ডমিল এবং ফলের বাগান উত্তরাধিকারসূত্রে পান। সুফি শেখ ইবরাহিম কুন্দুজীর সাথে দেখা এবং তাদের আলোচনা তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরবর্তীতে সম্পত্তি বিতরণ করে জ্ঞানার্জনের জন্য বুখারা এবং সমরকন্দের সেমিনারিতে ভর্তি হন এবং মুহাম্মদ আল-বুখারি এবং আবু মনসুর আল-মাতুরিদির মাজার পরিদর্শন করেন। ইরাক ভ্রমণকালে খাজা উসমান-এর কাছে দীক্ষা লাভ করেন। বিশ বছরেরও বেশি সময় আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শকের সাথে ভ্রমণ করেন এবং আবদুল কাদের জিলানী, নাজমুদ্দিন কুবরা, নাজিব আল-দীন আবদ-আল-কাহির সোহরাওয়ার্দী, আবু সাঈদ তাবরিজি, এবং আবদ আল-ওয়াহিদ গজনবী প্রমুখ সুন্নি রহস্যবাদীদের সাথে দেখা করেন। ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে দক্ষিণ এশিয়ায় আগমন করেন। লাহোর, দিল্লি, এবং পরে আজমিরে বসতি স্থাপন করেন। তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে চিশতীয়া তরিকা প্রচার করেন এবং কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী, বাবা ফরিদ, নিজামুদ্দিন আউলিয়া প্রমুখ তার অনুসারী ছিলেন। তার একটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল "আনিসুল আরওয়াহ"। ১২৩৬ সালে আজমিরে ইন্তিকাল করেন। প্রতি বছর তার সমাধিস্থলে ওরস অনুষ্ঠিত হয়।
মঈন উদ্দিন খাজা
আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:৩৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১১৪২ খ্রিস্টাব্দে জন্ম, ১২৩৬ খ্রিস্টাব্দে ইন্তিকাল।
- পারস্য থেকে ভারতে ইসলাম প্রচারে অবদান।
- চিশতীয়া তরিকা প্রতিষ্ঠা ও প্রসার।
- গরিব নওয়াজ ও সুলতানুল হিন্দ উপাধি।
- আজমিরে সমাধিস্থ।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - মঈন উদ্দিন খাজা
মঈন উদ্দিন খাজা বেড়া পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শীতবস্ত্র মেলার সভাপতি ছিলেন।