ভূমি আপীল বোর্ড: বাংলাদেশের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রবিন্দু
বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ভূমি আপীল বোর্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এটি একটি আধা-বিচারিক সংস্থা, যা ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনের অধীনে আপীল ও রিভিশন মামলা নিষ্পত্তি করে। ১৯৮৯ সালের ২৪ নং আইনের মাধ্যমে এটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯০ সালে সংশোধিত হয়। বোর্ডের আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী এটি পরিচালিত হয়।
ভূমি আপীল বোর্ডের কার্যাবলী:
ভূমি আপীল বোর্ড বিভিন্ন ধরণের ভূমি সংক্রান্ত মামলায় আপীল/রিভিশন শুনানী করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- ভূমি সংক্রান্ত মামলা (রাজস্ব সম্পর্কিত)
- নামজারী ও খারিজ মামলা
- সায়রাত ও জলমহাল সংক্রান্ত মামলা
- ভূমি রেকর্ড সম্পর্কিত মামলা
- ভূমি উন্নয়ন কর সার্টিফিকেট মামলা
- খাস জমি বন্দোবস্ত সংক্রান্ত মামলা
- পি,ডি,আর এর আওতায় দায়েরকৃত রিভিশন বা আপীল মামলা
- অর্পিত, পরিত্যক্ত ও বিনিময় সম্পত্তি বিষয়ক মামলা
- ওয়াকফ/দেবোত্তর সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা (ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক বিষয় ব্যতীত)
- অধঃস্তন ভূমি আদালতসমূহের কার্যক্রম পরিদর্শন, অনুবীক্ষণ ও মূল্যায়ন
- ভূমি সংক্রান্ত আইন, আদেশ ও বিধি সম্পর্কে সরকারকে পরামর্শ প্রদান
গঠন:
ভূমি আপীল বোর্ড আইন অনুযায়ী বোর্ড গঠিত হয় একজন চেয়ারম্যান (সচিব পদমর্যাদার) এবং দুইজন সদস্য (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার) নিয়ে।
অবস্থান:
বোর্ডের অবস্থান ঢাকা শহরে। (ঠিকানা উল্লেখ করা প্রয়োজন।)
ঐতিহাসিক পটভূমি:
ব্রিটিশ আমলে বোর্ড অফ রেভিনিউ-এর কার্যকলাপের ধারাবাহিকতায় ভূমি আপীল বোর্ড গঠিত হয়েছে। এর পূর্বে ভূমি ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন জটিলতা ও বিরোধের কারণে এই ধরণের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।
ডিজিটাইজেশন:
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বোর্ডের কর্মকান্ডকে আরও দ্রুত ও স্বচ্ছ করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে দুর্নীতি কমবে এবং জনগণের সেবা আরও সহজতর হবে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ:
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মুহম্মদ ইব্রাহিম বর্তমানে চেয়ারম্যান (সচিব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও, জনাব এ. এফ. হাসান আরিফ ও এ এস এম সালেহ আহমেদ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত।
অন্যান্য তথ্য:
এই প্রতিবেদনে ভূমি আপীল বোর্ড সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। আমরা অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে এই প্রতিবেদনটি আপডেট করব।