ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard, ICG): ভারতের চতুর্থ সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে পরিচিত ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী দেশের বিশাল উপকূলরেখা রক্ষা এবং সামুদ্রিক আইন প্রয়োগের দায়িত্ব পালন করে। ১৮ আগস্ট, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বাহিনী ভারতের আঞ্চলিক জলসীমা, সন্নিহিত অঞ্চল এবং একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
ইতিহাস:
১৯৬০-এর দশকে সমুদ্রপথে বেআইনি চোরাচালানের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেলে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি পৃথক সামুদ্রিক বাহিনীর প্রস্তাব দেয়। ১৯৭১ সালে গঠিত নাগচৌধুরী কমিটি উপকূলরেখা পাহারা, অবৈধ কার্যকলাপ শনাক্ত এবং দমন করার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করে। ১৯৭৩ সাল থেকে ভারতীয় নৌবাহিনী সদস্যদের ব্যবহার করে এই কাজ শুরু হয়। ১৯৭৪ সালে গঠিত রুস্তমজি কমিটি ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী গঠনের সুপারিশ করে, যা ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৭ সালে কার্যকর হয় এবং ১৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
সংগঠন ও কার্যক্রম:
ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী ভারতীয় নৌবাহিনী, মৎস্য অধিদপ্তর, রাজস্ব বিভাগ (শুল্ক), এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করে। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অপারেশন, সমুদ্রদূষণ নিয়ন্ত্রণ, বেআইনি মৎস্য আহরণ বন্ধ, সীমান্ত নিরাপত্তা, এবং অন্যান্য সামুদ্রিক আইন প্রয়োগ।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি:
আমিরাল সৌরেন্দ্র নাথ কোহলি, ভাইস অ্যাডমিরাল ভি. এ. কামথ (প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর-জেনারেল), প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেসাই।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
১৯৯৯ সালে MV Alondra Rainbow জাহাজ উদ্ধার, ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর বাহিনী সম্প্রসারণ।
বর্তমান অবস্থা:
২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ১৮২টি জাহাজ এবং ৭৮টি বিমান রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২০০টি জাহাজ এবং ১০০টি বিমানের লক্ষ্য রয়েছে। এছাড়াও মহীপালপুরে নতুন একটি ডাটা সেন্টার নির্মাণাধীন যা তাদের কমান্ড ও কন্ট্রোল ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।
আমরা আপনাকে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী সম্পর্কে আরও তথ্য দিতে সক্ষম হবো যখনই আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হবে।