বাংলাদেশে ব্লক ইট: অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ
২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার কৃষিজমির উর্বরতা রক্ষা ও পরিবেশ দূষণ কমাতে ২০২৪-২০২৫ সালের মধ্যে সরকারি নির্মাণ কাজে শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তবে, ২০২৩ সালের হিসেবে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ১০ হাজার ইটভাটার বিপরীতে ব্লক ফ্যাক্টরির সংখ্যা মাত্র আড়াইশোর কাছাকাছি।
কারণসমূহ:
- করোনাভাইরাস মহামারী।
- বিভিন্ন স্তরে সমন্বয়ের অভাব।
- পর্যাপ্ত ব্লক ফ্যাক্টরির অভাব।
- জনসচেতনতার অভাব ও কারিগরি জ্ঞানের ঘাটতি।
- ব্লক ইট ব্যবহারের আর্থিক সুবিধা সম্পর্কে যথাযথ প্রচারের অভাব।
উৎপাদন ও ব্যবহার:
ব্লক ইট উৎপাদনে বালি, সিমেন্ট ও নির্দিষ্ট কিছু রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। দুই ধরণের ব্লক ইট তৈরি হয়: সলিড ও হলোটাইপ। হলো ব্লক দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করলে ইটের তুলনায় ভবনের ওজন কম হয় এবং সামগ্রিক খরচও কমে। ব্লক তৈরিতে প্রয়োজন হয় পলিবালু, যা ড্রেজিংয়ে তোলা মাটি দিয়েও তৈরি করা সম্ভব।
প্রধান চ্যালেঞ্জ:
- ব্লক ইটের বাজারের অভাব।
- প্রচলিত ইটভাটার মালিকদের প্রতিযোগিতা।
- ব্লক ইটের উচ্চমূল্য (প্রতিটি ব্লকের দাম প্রচলিত ইটের চেয়ে বেশি)।
- সাধারণ মানুষের ব্লক ইট সম্পর্কে সচেতনতার অভাব।
- ব্লক ইটের ভূমিকম্প সহনশীলতা নিয়ে গবেষণার অভাব।
সরকারি উদ্যোগ:
সরকার ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন-২০১৯ পাস করা।
- ব্লক ইট ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা (২০২৫ সালে শতভাগ, পরবর্তীতে ২০২৭ সালে বাড়ানো হয়েছে)।
- আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠান।
- ব্লক ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা দেওয়ার সুপারিশ।
- অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযান।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
ব্লক ইটের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে সরকার নতুন কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে, যাতে সব পক্ষের সমন্বয়, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং কারিগরি সহায়তা প্রদানের উপর জোর দেওয়া হবে। এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সফল হলে ২০২৭ সালের মধ্যে সরকারি নির্মাণকাজে শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহারের লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে।
ব্লক ইট (বাংলাদেশ)
["২০১৯ সালে সরকার ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে সরকারি নির্মাণ কাজে শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল।", "বর্তমানে ব্লক ইটের উৎপাদন এবং ব্যবহারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যবধান রয়েছে।", "করোনা মহামারী, সমন্বয়ের অভাব, ও জনসচেতনতার ঘাটতি প্রধান বাধা।", "ব্লক ইটের উচ্চমূল্য ও বাজারের অভাবও একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ।", "সরকার ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং নতুন কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে।"]
বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহারের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ, সরকারের উদ্যোগ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
["পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়", "বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই)", "এক্সিস এনার্জি লিমিটেড", "টাঙ্গাইল ইকো ব্লক লিমিটেড", "কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক)", "পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)", "বাংলাদেশ কংক্রিট ব্লক প্রস্তুতকারক মালিক সমিতি", "হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট"]
["মঈনুল হক চৌধুরী", "সাবের হোসেন চৌধুরী", "মেহেদী আনসারি", "মো. মিজানুর রহমান", "মো. শহীদুল আলম", "মো. মনিরুল ইসলাম", "শামীম সাকিব", "হাবিবুন নাহার", "মো. আরিফুজ্জামান", "মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ", "মো. শাহাব উদ্দিন", "সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান", "মোহাম্মদ আবু সাদেক", "মো. নাফিজুর রহমান", "মো. জিয়াউল হক", "লে. কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. সাখাওয়াত হোসেন"]
["বাংলাদেশ", "ঢাকা", "বাগেরহাট", "টাঙ্গাইল", "ধামরাই", "ফার্মগেট", "সাভার", "আশুলিয়া", "আমিনবাজার"]
["ব্লক ইট", "পরিবেশবান্ধব ইট", "ইটভাটা", "বায়ু দূষণ", "কৃষিজমি রক্ষা", "সরকারি উদ্যোগ", "উন্নয়ন প্রকল্প", "কারিগরি জ্ঞান", "জনসচেতনতা", "অর্থনীতি"]