ব্রাজিল দূতাবাস

আপডেট: ৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৬ পিএম

বাংলাদেশে ব্রাজিল দূতাবাস: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

২০১০ সালে বাংলাদেশে ব্রাজিলের একটি দূতাবাস স্থাপিত হয়, যা দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। দূতাবাস স্থাপনের পর থেকে বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক দ্রুত উন্নত হচ্ছে।

২০১১ সালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস ব্রাজিলে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়েছিলেন। ব্রাজিল বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের কাছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সমর্থন চেয়েছে, যেমন মানবাধিকার কাউন্সিল (২০১৩) এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যপদ (২০১৬-১৭)। ব্রাজিল বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য ৩ মিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছে।

ব্রাজিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে, যেমন কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং ক্রীড়া। ২০১৫ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্রাজিলের প্রধান রপ্তানী পণ্য হল কৃষি পণ্য, যেমন চিনি; বাংলাদেশ ব্রাজিলে পাট, তৈরি পোশাক এবং ঔষধ রপ্তানী করে।

বর্তমানে ব্রাজিল দূতাবাস বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে সহায়তা করছে এবং ভিসার চাহিদা পূরণের জন্য একটি ভিসা সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। ২০২২ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের অফিসিয়াল ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই ব্রাজিলে যেতে পারে।

অতিরিক্ত তথ্যের জন্য, ঢাকায় অবস্থিত ব্রাজিল দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০১০ সালে বাংলাদেশে ব্রাজিল দূতাবাস স্থাপিত হয়।
  • দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে।
  • ব্রাজিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে।
  • ২০১৫ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
  • ব্রাজিল দূতাবাস ভিসা প্রদানে সহায়তা করছে এবং ভিসা সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।