ব্রকলি: পুষ্টির আধার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা
ব্রকলি (Broccoli) একটি জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি, যা ক্রুসিফেরী গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এর সবুজ রঙের ছোট্ট ফুলের মতো কুঁড়ি ও ডাঁটা খাওয়া হয়। ব্রকলির পুষ্টিগুণ অপরিসীম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ফোলেট, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ব্রকলির উপকারিতা:
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে:
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
- পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে:
- ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে:
- গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী:
- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে:
- হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে:
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে:
- কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে:
চাষাবাদ:
ব্রকলির চাষাবাদ মূলত শীতকালে করা হয়। দোআঁশ ও এঁটেল দোআঁশ মাটিতে ব্রকলি ভালো জন্মে। বীজ বপন মধ্য ভাদ্র থেকে মধ্য পৌষের মধ্যে করা হয়। ২৫-৩০ দিন বয়সী চারা ৫০ সেন্টিমিটার দূরত্বে রোপণ করা উচিত। প্রয়োজনীয় সার প্রয়োগ করে ভাল ফলন পাওয়া যায়।
বিভিন্ন প্রকার:
সাধারণত তিন ধরণের ব্রকলি বেশি দেখা যায়: ক্যালব্রেস ব্রকলি, স্প্রাউটিং ব্রকলি এবং বেগুনি ফুলকপি।
প্রক্রিয়াজাতকরণ:
ব্রকলি কাঁচা, সেদ্ধ, ভাপে রান্না করে, স্টার-ফ্রাই করে বা স্যুপে ব্যবহার করা যায়। বেশি রান্না করলে পুষ্টিগুণ কিছুটা কমে যেতে পারে।
উৎপাদন:
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রকলির উৎপাদন হয়। চীন ও ভারত এই সবজির বৃহৎ উৎপাদক।
সতর্কতা:
কিছু ব্যক্তির ব্রকলি খাওয়ার পরে গ্যাস বা ফোলাভাব হতে পারে। এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে।