বুশরা বিবি

বুশরা বিবি, জন্মনাম বুশরা রিয়াজ ওয়াট্টু (উর্দু: بشریٰ بی بی), ১২ মার্চ ১৯৭১ জন্মগ্রহণকারী একজন পাকিস্তানি নারী, যিনি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচিত। তিনি মধ্য পাঞ্জাবের এক রক্ষণশীল, রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ওয়াট্টু বংশের জমিদার জাট গোষ্ঠীর অন্তর্গত। তিনি পূর্বে লাহোরের দক্ষিণ-পশ্চিমে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাকপত্তনের বাসিন্দা ছিলেন, যেখানে বাবা ফরিদের মাজার অবস্থিত। ইমরান খান এবং বুশরা বিবি উভয়েই এই মাজারের আধ্যাত্মিক অনুসারী ছিলেন এবং এখানেই তাদের প্রথম দেখা হয়।

বুশরা বিবি ১৯৮৯ সালে খাওয়ার মানেকার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। খাওয়ার মানেকা একজন উর্ধ্বতন কাস্টমস কর্মকর্তা এবং বেনজির ভুট্টোর মন্ত্রিসভার সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোলাম মুহাম্মদ মানেকার পুত্র ছিলেন। ২০১৭ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এই বিবাহ থেকে তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে রয়েছে।

২০১৫ সালে বুশরা বিবি এবং ইমরান খানের প্রথম দেখা হয় বলে জানা যায়। খানের সুফিবাদের প্রতি আগ্রহের কারণে তিনি পাকপত্তনের বাবা ফরিদের মাজারে নিয়মিত যাতায়াত করতেন এবং সেখানেই মানেকা পরিবারের সাথে তাঁর পরিচয় ঘটে। বুশরা বিবি তখন একজন সম্মানিত সুফি পন্ডিত, আধ্যাত্মিক পরামর্শদাতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ইমরান খান তাঁর কাছে আধ্যাত্মিক পরামর্শ নিতেন।

৬ আগস্ট ২০১৮ সালে ইমরান খান এবং বুশরা বিবির বিয়ে হয়। এই বিয়ে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়, কারণ মানেকার সাথে বুশরা বিবির ইদ্দতকালীন সময়েই এই বিয়ে সম্পন্ন হয় বলে অভিযোগ উঠে। ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সালে পাকিস্তানের একটি আদালত ইমরান খান এবং বুশরা বিবিকে এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তবে পরবর্তীতে ১৩ জুলাই ২০২৪ সালে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। বুশরা বিবি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রথম নেকাব পরিহিতা স্ত্রী হিসেবেও পরিচিত। তিনি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে আগ্রহী নন এবং একজন অন্তর্মুখী ব্যক্তি। তার ইমরান খানের সাথে বিয়ের পর জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। বুশরা বিবি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় নন এবং তাঁর নামে থাকা সমস্ত অ্যাকাউন্ট ভুয়া বলে দাবি করেছেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • বুশরা বিবি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তৃতীয় স্ত্রী।
  • তিনি একজন সুফি পন্ডিত এবং আধ্যাত্মিক পরামর্শদাতা ছিলেন।
  • তার ইমরান খানের সাথে বিয়ে নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়।
  • তাদের বিয়ে ইদ্দতকালীন সময়ে হওয়ার অভিযোগে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
  • পরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
  • তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রথম নেকাব পরিহিতা স্ত্রী।