বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক): একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) হলো বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন নামে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, স্বাধীনতার পর এর নামকরণ হয় বিসিক। এর প্রধান লক্ষ্য হলো দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ ও সম্প্রসারণ। বিসিক বেসরকারি খাতের ক্ষুদ্র, কুটির ও গ্রামীণ শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের দায়িত্বে নিয়োজিত।
প্রতিষ্ঠানের গঠন:
বিসিকের চেয়ারম্যান সাধারণত সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। পরিচালক বোর্ডে আরও ছয়জন সদস্য থাকেন যারা সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। এছাড়াও, একজন উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অবস্থান:
বিসিকের প্রধান কার্যালয় ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত। এছাড়াও, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং খুলনায় বিভাগীয় কার্যালয় এবং প্রতিটি জেলায় একটি করে জেলা কার্যালয় রয়েছে। সারা দেশে বিসিকের ৭৬টি শিল্প সহায়ক কেন্দ্র রয়েছে।
কার্যক্রম:
বিসিক ক্ষুদ্র শিল্পে মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণ প্রদান করে। এ ঋণ সরাসরি অথবা বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। বিসিক লবণ শিল্পের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং আয়োডিনযুক্ত লবণের ব্যবহারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে।
বিসিকের জামদানি শিল্প সম্পদ ও গবেষণা কেন্দ্র:
১৯৯১ সালে নারায়ণগঞ্জের নোয়াপাড়ায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠিত বিসিকের জামদানি শিল্প সম্পদ ও গবেষণা কেন্দ্র জামদানি শিল্পের জন্য উল্লেখযোগ্য।
টঙ্গী ও জামালপুরের বিসিক শিল্প এলাকা:
বিভিন্ন প্রতিবেদনে টঙ্গী ও জামালপুরের বিসিক শিল্প এলাকার অবকাঠামোগত সমস্যা, নিরাপত্তা ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জের কথা উঠে এসেছে।
আরও তথ্য:
বিসিকের সম্পূর্ণ তথ্য ও সেবা সম্পর্কে জানতে, তাদের ওয়েবসাইট www.bscic.gov.bd ভিজিট করুন। আমাদের কাছে বিসিকের বিভিন্ন শিল্প এলাকার আরও বিস্তারিত তথ্যের অভাব রয়েছে। আমরা যখনই আরও তথ্য পাবো, তখনই আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব।