বিভিন্ন স্থান

রংপুর চিনিকলের পুনঃচালুর সিদ্ধান্ত: আনন্দের বন্যা গাইবান্ধায়

গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে অবস্থিত রংপুর চিনিকল পুনরায় চালুর সিদ্ধান্তে এলাকায় বইছে আনন্দের বন্যা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে আধুনিকায়নের নামে আখ মাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হলেও, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর এটি পুনরায় চালু হচ্ছে। এই চিনিকলটি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প সংস্থার অধীনে ১৫টি চিনিকলের মধ্যে একটি ছিল যার মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছিল। প্রায় এক হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও ৫০ হাজার চাষি এবং অন্যান্য সম্পৃক্ত লক্ষাধিক মানুষের জীবিকা এই চিনিকলের উপর নির্ভরশীল। পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর এটি পুনরায় চালু হওয়ায় সকলেই আশাবাদী। তবে ৯০ এর দশকে আধুনিকায়নের নামে বিশ্বব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ৫০০ কোটি টাকার বেশি লোকসানের মুখে রয়েছে চিনিকলটি। ১৯৫৪ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়া এই চিনিকলটি ১৯৫৭ সাল থেকে চিনি উৎপাদন শুরু করে। ৬৩ বছরে ২২ হাজার ৯৮৫ দিনের মধ্যে ৫ হাজার ৭৩৯ দিন চালু ছিল রংপুর চিনিকল। এই সময়ে ৫৬ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছে। চিনিকলটির পুনঃচালু হলে আখ চাষী ও শ্রমিকদের জীবিকা উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাপমাত্রার তথ্য অনুযায়ী, রংপুরের গতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১৪.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মূল তথ্যাবলী:

  • রংপুর চিনিকল পুনরায় চালু হচ্ছে
  • আধুনিকায়নের পর লোকসান কমবে
  • ৫০ হাজারের বেশি চাষী ও ১০০০ শ্রমিকের জীবিকা নির্ভরশীল
  • ৯০ এর দশকে বিশ্বব্যাংকের ঋণ গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে
  • ১৯৫৪ সালে নির্মাণ কাজ শুরু