বিদেশ যাত্রা: সরকারি পদ্ধতি, প্রস্তুতি ও করণীয়
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের অবদান অপরিসীম। প্রতিবছর লাখ লাখ বাংলাদেশী কর্মসংস্থানের সন্ধানে বিভিন্ন দেশে যান। বিদেশ যাত্রার সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজ উপায় হলো সরকারি পদ্ধতি অনুসরণ করা। এতে দালালের প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং আইনগত সুরক্ষাও নিশ্চিত হয়।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে:
- গন্তব্য দেশ নির্বাচন: প্রথমে ভালো করে গবেষণা করে, চাকরির চাহিদা, বেতন, জীবনযাত্রার ব্যয় ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে গন্তব্য দেশ নির্বাচন করতে হবে। আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে সরকার অনুমোদিত দেশ এবং চাকরির তথ্য পাওয়া যায়।
- দক্ষতা উন্নয়ন: যে দেশে যাওয়া হবে তার চাকরির প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করাও জরুরি। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতে পারে।
- নথিপত্র প্রস্তুতি: পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত ও কর্মসংস্থানের সনদপত্র, ভিসা, মেডিকেল সার্টিফিকেট ইত্যাদি নথিপত্র আগে থেকেই প্রস্তুত রাখতে হবে।
- অর্থনৈতিক ব্যবস্থা: বিদেশ যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করে রাখতে হবে। খরচের অনুমান করে আগে থেকেই পর্যাপ্ত অর্থ জোগাড় করে নিতে হবে।
- প্রতারণা থেকে সতর্কতা: দালাল চক্রের প্রতারণার শিকার হওয়ার আশঙ্কা সব সময় থাকে। তাই সবসময় সরকারি পদ্ধতি অনুসরণ ও সতর্ক থাকতে হবে।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার সুবিধা:
- দালাল চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- সরকারের আইনি সুরক্ষা পাওয়া যায়।
- ভ্রমণ ও কার্যক্রমের সহজলভ্যতা।
- কম খরচে বিদেশ যাত্রা করা সম্ভব।
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার পদ্ধতি:
- 'আমি প্রবাসী' অ্যাপ ব্যবহার করে নিবন্ধন।
- পছন্দের দেশ ও চাকরির জন্য আবেদন।
- নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
- প্রয়োজনীয় ভিসা ও অন্যান্য নথিপত্র সংগ্রহ।
- বিদেশ যাত্রা।
বিদেশ যাত্রার পূর্বে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ ও সাবধানতা অবলম্বন করে নিরাপদ ও সফল ভ্রমণ সাধন করা সম্ভব।