বিজিএপিএমইএ

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৯ এএম

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ): এক নজরে

১৯৮৯ সালে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)। দেশের পোশাকের আনুষাঙ্গিক এবং প্যাকেজিং শিল্পের উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের প্রধান বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে প্রায় ২,০০০ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এটি প্রতিনিধিত্ব করে। তৈরি পোশাক শিল্পের (আরএমজি) পেছনের লিঙ্ক ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে কাজ করে এই খাত। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই খাত প্রায় ৬.৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রপ্তানি) আয় করেছে, যার মধ্যে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার ছিল প্রত্যক্ষ রপ্তানি। নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, ভারত, মধ্যপ্রাচ্য, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, শ্রীলঙ্কা, তুর্কমেনিস্তান, জার্মানি, অস্ট্রিয়া ইত্যাদি দেশে এই পণ্য রপ্তানি হয়। এই খাতে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে এবং মূল্য সংযোজন প্রায় ৪০%। ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এই খাতের জন্য ১২ বিলিয়ন ডলার উৎপাদন করা প্রয়োজন। ৭.৫ লাখেরও বেশি কর্মচারী এ খাতে কর্মরত আছেন, যাদের ২০% নারী। বিশ্বব্যাপী প্যাকেজিং বাজারের আকার প্রায় ৮০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্যাকেজিংয়ের ১% বাজার দখল করে বিজিএপিএমইএ ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করতে পারে। মায়ানমার, আফ্রিকান দেশসহ উদীয়মান দেশগুলিতে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।

বিজিএপিএমইএর সদস্যরা গার্মেন্টসের আনুষাঙ্গিক এবং প্যাকেজিংয়ের প্রায় সব ধরণের পণ্য উৎপাদন করে, যেমন: করুগেটেড কার্টন, হানিকম্ব কার্টন, ওয়াক্স কার্টন, পলি ব্যাগ, হ্যাঙ্গার, গাম টেপ, ব্যাক বোর্ড, নেক বোর্ড, হ্যাং ট্যাগ, প্রাইস ট্যাগ, বারকোড, কলার ইনসার্ট, বাটারফ্লাই, কলার বোন, সেলাই সুতা, টেপ, ইলাস্টিক, মুদ্রিত ও বোনা লেবেল, জিপার, স্টিকার, বোতাম, ড্র-কর্ড, ড্র-স্ট্রিং, ইন্টারলাইনিং, টিস্যু পেপার, প্যাডিং, কুইল্টিং, এমব্রয়ডারি, স্টপার, পিপি-ব্যান্ড, ভেলক্রো টেপ, আরএফআইডি, সিকিউরিটি ট্যাগ, বাকল, লেদার প্যাচ, মোল্ড ইত্যাদি। এগুলো তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিকস, চামড়ার সামগ্রী, পাটের সামগ্রী, ফ্রোজেন ফুড, জুতা, ফল ও সবজি, হস্তশিল্প ইত্যাদি রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য ব্যবহৃত হয়।

অধিকাংশ সদস্যই ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের (এসএমই) মালিক। দুই বছর মেয়াদী নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশনায় সচিবালয় পরিচালিত হয়। এই সংগঠন এশিয়ান প্যাকেজিং ফেডারেশন (এপিএফ) এবং ওয়ার্ল্ড প্যাকেজিং অর্গানাইজেশন (ডব্লিউপিও)-এর সদস্য।

নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং দ্বন্দ্ব:

বিজিএপিএমইএ-এর ৩৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০২৪ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে সমঝোতার ভিত্তিতে কমিটি গঠিত হতো। ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য দুটি প্যানেল- ‘ঐক্য পরিষদ’ ও ‘অ্যাক্টিভ মেম্বার্স ইউনিয়ন’ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব দেন মো. শাহরিয়ার এবং অ্যাকটিভ মেম্বার্স ইউনিয়নের নেতৃত্ব দেন মো. নাছিরুল আলম। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু দ্বন্দ্ব এবং মামলার ঘটনাও ঘটে।

সাম্প্রতিক ঘটনা এবং দাবী:

বিজিএপিএমইএ সরকারের কাছে প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকদের জন্যও সমান সুযোগের দাবি জানায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকদের নগদ সহায়তা প্রদানের ঘোষণা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তারা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায়। এছাড়াও, করের হার বৃদ্ধি, অপ্রদর্শিত অর্থের ওপর কর আরোপ, প্রি-ফেব্রিকেটেড ভবন নির্মাণের উপকরণ আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি, জ্বালানী সাশ্রয়ী বাতির ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি, নতুন বন্ড লাইসেন্সের ফি বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু দাবীতে তারা প্রতিবাদ করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত
  • প্রায় ২,০০০ শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করে
  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬.৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়
  • ৭.৫ লাখের বেশি কর্মচারী
  • ২০৩০ সালের মধ্যে ১২ বিলিয়ন ডলার উৎপাদনের লক্ষ্য
  • প্রথমবারের মতো ২০২৪ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - বিজিএপিএমইএ

০৮ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ গার্মেন্ট এক্সেসরিজ প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্যমেলার আয়োজন করেছে।