বায়তুল মোকাররম মসজিদ

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম: ঐতিহ্য, স্থাপত্য ও গুরুত্ব

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পল্টনে অবস্থিত বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে গভীর সম্মান ও ভক্তির স্থান। ১৯৬৮ সালে নির্মাণকাজ শেষ হওয়া এই মসজিদটি মাত্র ৩০,০০০ মুসল্লি ধারণ করার সামর্থ্য নিয়ে নির্মিত হলেও, জুমার নামাজ এবং রমজান মাসে ৪০,০০০ এরও বেশি মুসল্লি এখানে নামাজ আদায় করেন। এই বিশাল মসজিদের স্থাপত্যশৈলী মুঘল স্থাপত্যের ঐতিহ্য বহন করে, পাশাপাশি আধুনিক স্থাপত্যের অনন্য মিশ্রণও লক্ষণীয়। কাবাঘরের আদলে নির্মিত বৃহৎ ঘনক্ষেত্রাকার কাঠামো একে বাংলাদেশের অন্যান্য মসজিদ থেকে আলাদা করেছে।

ইতিহাস:

১৯৫৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল লতিফ ইব্রাহিম বাওয়ানি এবং তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানির উদ্যোগে ‘বায়তুল মুকাররম মসজিদ সোসাইটি’ গঠিত হয়। পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার মিলনস্থলে ৮.৩০ একর জমিতে এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পল্টন পুকুর নামে পরিচিত একটি বৃহৎ পুকুর ভরাট করে এই জমি তৈরি করা হয়। ১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান এই মসজিদের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। সিন্ধুর বিশিষ্ট স্থপতি আব্দুল হুসেন থারিয়ানি মসজিদ কমপ্লেক্সটির নকশা করেছিলেন। ১৯৬৩ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো এখানে নামাজ আদায় করা হয়। ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে। ২০০৮ সালে সৌদি সরকারের অর্থায়নে মসজিদটি সম্প্রসারিত করা হয়।

স্থাপত্য:

আটতলা বিশিষ্ট এই মসজিদের উচ্চতা ৯৯ ফুট। নিচতলায় বিপণিবিতান ও একটি বৃহৎ মার্কেট অবস্থিত। দোতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত প্রতি তলায় নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদের নকশায় মুঘল স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে আধুনিক স্থাপত্যের অনন্য মিশ্রণ দেখা যায়। মসজিদের কেন্দ্রীয় কক্ষ তিনদিকে বারান্দা দিয়ে ঘেরা। আয়তাকার মিহরাবটি এই মসজিদে বিশেষ আকর্ষণ। মসজিদের চারপাশে মুঘল শৈলীর একটি সুন্দর বাগান রয়েছে।

গুরুত্ব:

বায়তুল মোকাররম মসজিদ মাত্র একটি প্রার্থনাস্থল নয়, এটি ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে এবং ঈদের দিনগুলিতে এখানে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি সমাগম হয়। দেশি এবং বিদেশি অনেক পর্যটক এই মসজিদ দর্শন করতে আসেন। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক ধারার প্রতীক হিসেবে ও বিবেচিত হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৬৮ সালে নির্মাণ সম্পন্ন
  • ঢাকার পল্টনে অবস্থিত
  • ৪০,০০০ মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা
  • মুঘল ও আধুনিক স্থাপত্যের মিশ্রণ
  • কাবাঘরের আদলে নির্মিত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - বায়তুল মোকাররম মসজিদ

বায়তুল মোকাররম মসজিদে খতমে নবুয়াতের মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে খেলাফত যুব মজলিসের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।