বায়তুল মোকাররম মসজিদ, ঢাকা

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১০ এএম
নামান্তরে:
বায়তুল মোকাররম মসজিদ ঢাকা
বায়তুল মোকাররম মসজিদ, ঢাকা

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ: ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহাসিক মসজিদ

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ দেশের সবচেয়ে বড় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলির মধ্যে একটি। মসজিদের স্থাপত্য, ইতিহাস এবং ধারণক্ষমতায় এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ইতিহাস:

১৯৫৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল লতিফ ইব্রাহিম বাওয়ানি এবং তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানির উদ্যোগে 'বায়তুল মোকাররম মসজিদ সোসাইটি' গঠন করা হয়। এরপর ১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারী তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান মসজিদের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার সংযোগস্থলে পল্টন এলাকায় মসজিদের জন্য ৮.৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। স্থানটি নগরীর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র থেকেও ছিল নিকটবর্তী। সিন্ধুর বিশিষ্ট স্থপতি আব্দুল হোসেন থারিয়ানি মসজিদ কমপ্লেক্সটির নকশা করেছিলেন। ১৯৬৮ সালে মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে। ২০০৮ সালে সৌদি সরকারের অর্থায়নে মসজিদটি সম্প্রসারিত হয়।

স্থাপত্য:

বায়তুল মোকাররম মসজিদ আট তলা বিশিষ্ট। নিচতলায় বিপণি বিতান এবং একটি বিশাল মার্কেট কমপ্লেক্স অবস্থিত। মসজিদের দোতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত নামাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। মসজিদের নকশায় মুঘল স্থাপত্যশৈলীর সাথে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ দেখা যায়। মক্কার কাবাঘরের অনুরূপে তৈরি মসজিদের বৃহৎ ঘনক্ষেত্র আকৃতি এটিকে অনন্য করে তুলেছে। মসজিদের বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে একটি মনোমুগ্ধকর মুঘল শৈলীর বাগান।

ধারণক্ষমতা:

মসজিদের ধারণক্ষমতা ৩০,০০০ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪০,০০০-এর বেশি। শুক্রবারের জুম্মার নামাজ এবং রমজান মাসের তারাবিহ নামাজে অসংখ্য মুসল্লি এখানে নামাজ আদায় করে।

গুরুত্ব:

বায়তুল মোকাররম ঢাকা শহরের একটি ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থাপনা। এটি শুধু নামাজ আদায়ের স্থান নয়, বরং ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা। দেশি-বিদেশি অসংখ্য পর্যটক এখানে ভ্রমণে আসেন।

অবস্থান:

বায়তুল মোকাররম মসজিদ ঢাকা শহরের পল্টন এলাকায় অবস্থিত। গুলিস্তান ও মতিঝিল এর নিকটবর্তী।

মূল তথ্যাবলী:

  • বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ১৯৬৮ সালে নির্মিত হয়।
  • আব্দুল লতিফ ইব্রাহিম বাওয়ানি ও তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানি মসজিদ নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
  • মসজিদটি ৪০,০০০ এর অধিক মুসল্লি ধারণ করতে পারে।
  • মসজিদের স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এবং মুঘল স্থাপত্যশৈলীর সাথে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণ।
  • এটি ঢাকা শহরের পল্টন এলাকায় অবস্থিত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।