বাল্ড ঈগল

আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:২০ এএম

টাক ঈগল: উত্তর আমেরিকার জাতীয় পাখি

টাক ঈগল (বৈজ্ঞানিক নাম: Haliaeetus leucocephalus) উত্তর আমেরিকার একটি বিখ্যাত এবং প্রতীকী পাখি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পাখি হিসেবে এর গুরুত্ব অপরিসীম। এই ঈগলের গাঢ় বাদামী দেহ, সাদা মাথা ও লেজ এর চেনা চিহ্ন। এরা মূলত বিশালাকার উন্মুক্ত জলাশয়ের কাছে বাস করে, যেখানে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়।

বাসস্থান ও বিস্তৃতি:

টাক ঈগল কানাডার বেশিরভাগ অংশ, আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ অংশ এবং মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলে বিস্তৃত। এদের বাসস্থান সাধারণত বিশালাকার জলাধার, নদীমুখ, এবং জলাভূমি। পুরাতন বড় গাছ এদের বাসা তৈরির জন্য আবশ্যক।

খাদ্য:

এদের প্রধান খাদ্য মাছ। উড়ন্ত অবস্থায় এরা পানি থেকে নখের সাহায্যে মাছ ধরে। ছোট ছোট পাখি, পাখির ডিম, এবং অন্যান্য ছোট প্রাণীও এরা খায়।

বাসা:

টাক ঈগল বিশাল আকারের বাসা তৈরি করে। এদের বাসার গভীরতা ৪ মিটার (১৩ ফুট) পর্যন্ত এবং প্রস্থ ২.৫ মিটার (৮.২ ফুট) পর্যন্ত হতে পারে। বাসার ওজন ১ টন (১.১ শর্ট টন) পর্যন্ত হতে পারে।

প্রজনন:

চার থেকে পাঁচ বছর বয়সে এরা প্রজননের জন্য যোগ্য হয়। একটি জোড়া ঈগল সাধারণত সারাজীবন একসাথে থাকে। স্ত্রী ঈগল ১-৩ টি ডিম পাড়ে এবং ৩৫ দিন ইনকিউবেশন হয়।

সংরক্ষণ:

বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে কীটনাশক ডিডিটির ব্যবহারের ফলে টাক ঈগলের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। ডিডিটির ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ার পর এবং সংরক্ষণের উদ্যোগের ফলে এদের সংখ্যা আবার বৃদ্ধি পেয়েছে।

উল্লেখযোগ্য তথ্য:

  • টাক ঈগল উত্তর আমেরিকার একমাত্র স্বতন্ত্র ঈগল।
  • স্ত্রী ঈগল পুরুষ ঈগলের চেয়ে ২৫% বড়।
  • এরা বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ভারী পাখির বাসা তৈরি করে।
  • ১৯৬৭ সালে টাক ঈগলকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
  • ২০০৭ সালে এদেরকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

চিত্র: সংগৃহীত

মূল তথ্যাবলী:

  • টাক ঈগল উত্তর আমেরিকার জাতীয় পাখি।
  • এদের গাঢ় বাদামী দেহ, সাদা মাথা ও লেজ।
  • মাছ এদের প্রধান খাদ্য।
  • বিশাল আকারের বাসা তৈরি করে।
  • ডিডিটির ব্যবহারের ফলে সংখ্যা কমে গিয়েছিল, পরে সংরক্ষণের উদ্যোগে আবার বৃদ্ধি পেয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - বাল্ড ঈগল

বাল্ড ঈগল কে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পাখি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।