টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার এক যুবক বাবলু মিয়ার (৩৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একটি নয়, বেশ কয়েকটি বাবলু মিয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ সংবাদে ১৮ নভেম্বর ২০২৪ সালে টাঙ্গাইলের সখীপুরে হত্যাকাণ্ডের শিকার বাবলু মিয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, নিহত বাবলু মিয়া (৩৫) সখীপুর উপজেলার কালিয়ান মাদ্রাসাপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে ছিলেন। তিনি মাটির ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে কালিহাতী উপজেলার গান্দিনাপাড়া বাজারে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর পূর্বে বাবলু মিয়া হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করেছিলেন বলে জানা গেছে। তার এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। হারুনকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম জারি রেখেছে।
অন্যদিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ৮ মার্চ ২০২৪ সালে আরও এক বাবলু মিয়া (২৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে এই ঘটনাটি আলাদা এবং উপরোক্ত ঘটনার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে হয়। তিনি শ্যালিকাকে গালি দেওয়ার জেরে লাঠির আঘাতে নিহত হন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিন্নতা থাকায় আমরা পাঠকদের অনুরোধ করবো যেন বিভিন্ন বাবলু মিয়ার মধ্যে পার্থক্য দেখা যায় এবং যে বাবলু মিয়ার বিষয়ে জানতে চান সে সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে নির্বাচন করেন। আরও বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্ত হলে আমরা আপনাদের সাথে জানাতে পারবো।