বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর: উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতির নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে অবস্থিত এই বন্দরটি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটান – চারটি দেশের মধ্যে পণ্য আদান-প্রদানের সুবিধা প্রদান করে। ১৯৯৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বন্দরটি চালু হয় এবং নেপালের সাথে বাণিজ্য চুক্তির আওতায় এর যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে ভারতের সাথেও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এই বন্দর ব্যবহার শুরু হয়।
এই বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য, যেমন ব্যাটারি, সীসা, পাট, ফলের রস, ওয়েস্ট কটন, কাপড়, কাঠ এবং প্লাস্টিকের আসবাবপত্র রপ্তানি করা হয়। অন্যদিকে, ভারত থেকে পাথর এবং নেপাল থেকে ডাল আমদানি করা হয়। ২০১১-১২ অর্থবছরে এই বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ১১ কোটি ১৮ লাখ ৭২ হাজার ৭৬৪ টাকা রাজস্ব আয় করে।
বাংলাবান্ধা বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর অবস্থান। এটি ভারতের শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এছাড়াও, দার্জিলিং ৭৭ কিলোমিটার, নেপাল সীমান্ত ৫৪ কিলোমিটার, ভুটান সীমান্ত ১৩০ কিলোমিটার এবং চীন সীমান্ত ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই কারণে, এই বন্দরটি উত্তর-পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথে বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দর অবস্থিত। এই বন্দরের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।