বাংলাদেশে নারীদের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে জাতীয় মহিলা সংস্থার অবদান
জাতীয় মহিলা সংস্থা বাংলাদেশ সরকারের অধীনে কার্যকর একটি প্রতিষ্ঠান যা দেশের নারীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে। এই সংস্থাটি মূলত নারীদের অধিকার রক্ষা, সাশক্তিকরণ, এবং সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ঐতিহাসিক পটভূমি:
প্রাথমিকভাবে ১৯৭২ সালে 'বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ড' নামে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৯৭৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী বর্তমান নামে পরিচিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর নারীদের পুনর্বাসন ও কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরবর্তীতে এটি নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
কার্যক্রম:
জাতীয় মহিলা সংস্থা নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার মধ্যে অন্যতম:
- ক্ষুদ্রঋণ প্রদান: দারিদ্র্য বিমোচন ও আত্মকর্মসংস্থানের জন্য দুঃস্থ নারীদের ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করে।
- প্রশিক্ষণ: বিভিন্ন কারিগরি ও ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: নারীর অধিকার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে।
- সমাজকল্যাণ: নারীদের সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি:
উপরোক্ত টেক্সটে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ জাতীয় মহিলা সংস্থায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। তাদের মধ্যে মমতাজ আহমেদ এনডিসি (চেয়ারম্যান) ও শাহানা সারমিন (নির্বাহী পরিচালক) উল্লেখযোগ্য।
স্থান:
জাতীয় মহিলা সংস্থার প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। এছাড়াও, সারা বাংলাদেশ জুড়ে এর অনেক কার্যালয় রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
জাতীয় মহিলা সংস্থা ১১টি ডে কেয়ার সেন্টার পরিচালনা করে। প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক সুবিধাবঞ্চিত নারীদের প্রশিক্ষণ এবং ঋণ প্রদান করা হয়েছে। তবে, এই সংখ্যা এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ করা সম্ভব হয়নি।
উপসংহার:
জাতীয় মহিলা সংস্থা বাংলাদেশে নারীদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তবে, আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।