বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (Biman Bangladesh Airlines) ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকভাবে ‘এয়ার বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত হলেও পরে এর নামকরণ করা হয় ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স’। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি দেশের আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় রুটেই যাত্রী ও কার্গো পরিবহনের কাজ করে আসছে। প্রথমদিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিমানবন্দরও এর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

বিমানের প্রাথমিক দিনগুলিতে দুর্ঘটনা, দুর্নীতি এবং অপরিচালনার মধ্য দিয়ে বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছে। তবে, ২০০৭ সালে একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রুপান্তরিত হওয়ার পর থেকে বিমানের উন্নতিকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কর্মী সংখ্যা কমানো, আধুনিক বিমান সংগ্রহ, গন্তব্য সম্প্রসারণ এবং যাত্রী সুবিধা উন্নতকরণের কাজ এরই অংশ। বোয়িং ও এয়ারবাসের বিভিন্ন ধরনের আধুনিক বিমান বহরের সঙ্গে বিমান আজ বিশ্বের ৩০ টির বেশি গন্তব্যে সেবা প্রদান করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি (EASA) এবং আইএটিএ (IATA) -এর নিরাপত্তা নিরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়ে বিমান আন্তর্জাতিকভাবে নিরাপদতার স্বীকৃতি পেয়েছে।

বিমানের কর্পোরেট ব্যবসায়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো বার্ষিক হজ্জ ফ্লাইট। হাজার হাজার হজ্জ যাত্রীকে জেদ্দা নিয়ে যাওয়া ও ফিরিয়ে আনার কাজ বিমান করে। এছাড়াও, বিমানের কয়েকটি সহায়ক সংস্থা আছে যা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং, বিমান প্রকৌশল, প্রশিক্ষণ এবং ফ্লাইট ক্যাটারিং এর মতো কাজ করে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশীদের সাথে দেশের যোগাযোগ স্থাপন করে, পর্যটন খাতকে উৎসাহিত করে এবং দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা
  • আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় রুটে যাত্রী ও কার্গো পরিবহন
  • ২০০৭ সালে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর
  • আধুনিক বিমান বহর ও গন্তব্য সম্প্রসারণ
  • EASA ও IATA নিরাপত্তা শংসাপত্র প্রাপ্ত

গণমাধ্যমে - বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে সোনার বার উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।