বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী: অধিকার, স্বাধীনতা ও সাম্যের সংগ্রাম
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী (সংক্ষেপে উদীচী) বাংলাদেশের একটি বৃহৎ সাংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯৬৮ সালের ২৯ অক্টোবর বিপ্লবী কথাশিল্পী সত্যেন সেন, রণেশ দাশগুপ্ত প্রমুখ তরুণদের উদ্যোগে এই সংগঠনের সূচনা হয়। উদীচী সর্বদাই অধিকার, স্বাধীনতা ও সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় উদীচীর কর্মীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও, দেশের সকল গণতান্ত্রিক, মৌলবাদবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনে উদীচী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সারাদেশে তিন শতাধিক শাখা এবং বিদেশেও কয়েকটি শাখা রয়েছে উদীচীর। ২০১৩ সালে সংগঠনটি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক লাভ করে।
সংগঠনের কর্মকাণ্ড:
উদীচীর অধীনে সঙ্গীত, নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি, চারুকলা, চলচ্চিত্র ও সাহিত্যসহ বিভিন্ন বিভাগ কাজ করে। ঢাকা কেন্দ্রকে ভিত্তি করে ৭১টি জেলা এবং তিন শতাধিক শাখা রয়েছে। প্রায় ১৫,০০০ সদস্য নিয়ে উদীচী কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার তোপখানা সড়কে অবস্থিত।
উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা:
উদীচী মঞ্চ ও পথনাটকসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। 'ইতিহাস কথা কও' গীতি-নাট্য সারাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
উদীচীর রাজনৈতিক ও সামাজিক দর্শন:
উদীচী একটি অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল সংগঠন হিসেবে পরিচিত। তারা সাম্যবাদী আদর্শে বিশ্বাসী এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে।
আরও তথ্য:
উদীচী সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য তাদের ওয়েবসাইট বা অন্যান্য প্রকাশনা দেখতে পারেন।