বরিশালের পোর্ট রোড মোকাম: ইলিশের আধিকারিক বাজার ও রাজনৈতিক প্রভাব
বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডে অবস্থিত ইলিশের পাইকারি বাজার, বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এই মোকামটি শুধুমাত্র ইলিশের ব্যবসায়ের জন্যই নয়, বরং এর রাজনৈতিক প্রভাব এবং ক্ষমতার লড়াইয়ের দিক থেকেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
অবস্থান ও ভৌগোলিক গুরুত্ব:
পোর্ট রোড মোকামটি বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডে কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত। এই অবস্থানের কারণে নদী পথে বিভিন্ন স্থান থেকে ইলিশ এখানে আসে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করা হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এটি ইলিশ ব্যবসায়ের জন্য আদর্শ।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
বছরের পর বছর ধরে এই মোকামটি ইলিশ ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে আসছে। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু রাজনীতির প্রভাব এই ঐতিহাসিক মোকামের উপর বারবার পড়েছে।
রাজনৈতিক প্রভাব:
বিভিন্ন সরকারের আমলে এই মোকামের নিয়ন্ত্রণ এবং নামকরণ বারবার বদলে গেছে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দলই ক্ষমতায় থাকাকালীন এখানে তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে, যার ফলে ব্যবসায়ীদের ওপর অতিরিক্ত খাজনা আরোপ এবং ইলিশের দাম নির্ধারণের ঘটনা ঘটেছে। মোকামের নামকরণ ও বদলে গেছে বারবার। আওয়ামী লীগের আমলে এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। বিএনপির আমলে এটি “শহীদ জিয়া মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্র” নামে পরিচিত ছিল।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
পোর্ট রোড মোকামটি বরিশালের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাজারো মানুষ এই মোকামের সাথে জড়িত, যারা ইলিশ উঠানো, পরিবহন এবং বিক্রয়ের কাজে নিযুক্ত।
বর্তমান অবস্থা:
বর্তমানেও এই মোকাম ইলিশের ব্যবসা এবং রাজনৈতিক প্রভাব দুটো দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। ইলিশের দাম, সরবরাহ, এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়গুলো এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার:
বরিশালের পোর্ট রোড মোকাম একটি ঐতিহাসিক এবং অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। তবে এর রাজনীতি এবং ক্ষমতার প্রভাব এর ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলে। এই মোকামের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং সুন্দর ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সুশাসন অত্যন্ত প্রয়োজন।