ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ: দীর্ঘসূত্রিতা ও দ্বন্দ্বের ছায়া
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। তবে সম্প্রতি এই দুটি শাখা সংগঠনের কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা ও নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্বের অস্তিত্ব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনের পর থেকেই থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি গঠনে বিলম্বের অভিযোগ উঠেছে।
২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ বজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হন এস এম মান্নান কচি। দক্ষিণের সভাপতি নির্বাচিত হন আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হন মো. হুমায়ুন কবির। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে প্রায় এক বছর সময় লেগেছিল। কিন্তু, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০২২ সালে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, উত্তরের ২৬টি থানা ও ৬৪টি ওয়ার্ড এবং দক্ষিণের ২৪টি থানা ও ৭৫টি ওয়ার্ডের কমিটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
মহানগর আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে বারবার নির্দেশনা উপেক্ষা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ২০২৩ সালের ২০ মার্চ এবং চলতি বছরের ৩১ মে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কমিটি গঠন সম্ভব হয়নি। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এখনও কমিটি জমা দিতে পারেনি। দক্ষিণের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এ বিলম্বের কথা বলা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ চলতি মাসে প্রস্তাবিত কমিটি কেন্দ্রে জমা দিয়েছে। যাচাই-বাছাই ও শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর কমিটি চূড়ান্ত হবে। এদিকে, তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়েও অভিযোগ উঠেছে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ:
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও দীর্ঘসূত্রিতার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয় দেড় বছর পর। এতে গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমকে রাখা হয়নি। ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে আজমত উল্লা খান সভাপতি ও মো. আতাউল্যাহ মন্ডল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলমের বাদ পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা মতামত ও প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেয়েছে। একটি ১১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি পরবর্তীতে অনুমোদিত হয়।
উল্লেখ্য, উল্লেখিত তথ্য উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। আরও তথ্য পাওয়া গেলে, আর্টিকেলটি আরও সমৃদ্ধ করা হবে।