বরিশাল নগরী: বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বপূর্ণ একটি মহানগর। কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত এই নগরটি বরিশাল জেলার প্রশাসনিক সদর এবং বরিশাল বিভাগেরও সদর দপ্তর। মোগল আমলে লবণচৌকি ও গিরদে বন্দর কেন্দ্র করে শহরটি গড়ে উঠে। ১৮০১ সালে বাকেরগঞ্জ জেলার সদর দপ্তর বরিশালে স্থানান্তরিত হলে এর গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পায়। বরিশাল নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। কিছু কিংবদন্তী অনুসারে এখানে প্রচুর শাল গাছ থাকার কারণে (বড় + শাল = বরিশাল) নামকরণ হয়েছে, আবার অন্য কিংবদন্তীতে পর্তুগীজ বেরি ও শেলির প্রেমকাহিনীর সাথে এর সম্পর্ক উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও বড় লবণের গোলা ও চৌকি থাকার কারণে 'বরিসল্ট'(বড়+লবণ) নাম থেকে বরিশাল নামের উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ডিজিটাল জনশুমারী ২০২২ অনুযায়ী বরিশাল আয়তনে দেশের ১০ম এবং জনসংখ্যায় ১২তম বৃহত্তম মহানগর। বরিশাল দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দরও এখানেই অবস্থিত। শহরটির আয়তন ৯৩.৬৩ বর্গ কিমি এবং ২০০২ সালে এটি সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হয়। বরিশালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য, যার মধ্যে ব্রজমোহন কলেজ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রভৃতি আছে। বরিশালের অর্থনীতি মূলত কৃষি, মৎস্য ও বাণিজ্যের উপর নির্ভরশীল। ঐতিহাসিক স্থাপনা, নদী-নালার সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদ বরিশালকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত করে তুলেছে।
বরিশাল নগরী
আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২:৩৬ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- বরিশাল বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি প্রধান শহর
- এটি বরিশাল বিভাগ ও জেলার প্রশাসনিক সদর
- কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত
- ১৮০১ সালে বাকেরগঞ্জ জেলার সদর দপ্তর স্থানান্তরিত হয় বরিশালে
- দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের উৎস
- দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদীবন্দর
- ২০২২ সালের জনশুমারী অনুযায়ী আয়তনে ১০ম এবং জনসংখ্যায় ১২তম বৃহত্তম মহানগর
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।