বগুড়া শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে বগুড়া ট্রাফিক পুলিশ। দিন দিন বেড়েই চলেছে অবৈধ অটোরিকশা, ইজিবাইক ও অন্যান্য যানবাহনের সংখ্যা, যার ফলে শহরে যানজটের ভয়াবহতা বেড়েছে। প্রায় ১০ লাখের বেশি এই ধরণের যানবাহনের অবাধ চলাচলের ফলে ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। ট্রাফিক পুলিশ নতুন নতুন নিয়ম প্রয়োগ করে যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, তবে অবৈধ যানবাহন চালকদের ট্রাফিক আইন অমান্যের কারণে যানজটের অবস্থা কিছুতেই স্বাভাবিক হচ্ছে না। সাতমাথা, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, ঝাউতলা, বড়গোলা, টিনপট্টি, দত্তবাড়ি, কাঠালতলা, ফতেহ আলী মোড়, শেরপুর সড়ক, ইয়াকুবিয়া মোড়, গোহাইল সড়ক, জলেশ্বরীতলা, কালিবাড়ি, পিটিআইলেন, এক নম্বর রেলঘুমটি, চকযাদু সড়ক, বাদুড়তলা ক্রসলেনসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রায়শই ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রতিদিনই বেশ কিছু যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে এবং জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। শহরের ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানও চলছে। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় যৌথ অভিযানের মাধ্যমে যানজট নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে। বগুড়া ট্রাফিক বিভাগের ইনচার্জ (টিআই) মো: সালেকুজ্জামান খান এবং বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, তারা যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং রাস্তার অপ্রতুলতা যানজটের মূল কারণ। প্রায় ৯০ হাজার থেকে এক লাখ যানবাহন চলাচল করে বগুড়া শহরে, যা রাস্তার ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি।
সম্প্রতি প্রখর খরতাপের মধ্যেও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জন্য বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও স্যালাইনসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করেছেন।
৫ আগস্টের ঘটনার পর কিছুদিন ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম সীমিত ছিল। শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সে সময় যানজট নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছিলেন। পরে ট্রাফিক পুলিশ আবার পূর্ণ সদলে কাজে যোগ দিয়েছে।