ফুলতেরা বেগম

আপডেট: ৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:৪৬ পিএম

ফুলতেরা বেগম: একজন গ্রামীণ নারীর উদ্যমী জীবন

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার লক্ষ্মীবাউর গ্রামের ফুলতেরা বেগম একজন সাধারণ গ্রামীণ নারী, যিনি নিজের পরিশ্রম ও উদ্যমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রায় কুড়ি বছর ধরে তিনি বাঁশ ও বেত দিয়ে শীতলপাটি, হাতপাখা, ঝুড়ি এবং মাছ ধরার চাঁই তৈরি করে বিক্রি করছেন। এ কাজে তার একমাত্র মেয়ে আছুমা বেগম তার প্রধান সহযোগী। তিনি গ্রামের হাটে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই পণ্য বিক্রি করেন। বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠানের আগে অনেকেই তাকে ফোনে অর্ডার দিয়ে রাখেন।

ফুলতেরা বেগমের জীবনে গ্রামীণফোনের ‘ইন্টারনেটের দুনিয়া সবার’ প্রচারাভিযানের আওতায় আয়োজিত একটি উঠান বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বৈঠকে অংশগ্রহণের পর তিনি ইন্টারনেট ব্যবহার করে তার ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ভাবতে শুরু করেন। তিনি মনে করেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার পণ্যের ছবি ও তথ্য সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছানো যাবে এবং তাতে তার ব্যবসা আরও বৃদ্ধি পাবে।

তার তৈরি শীতলপাটির দাম ২০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত, এবং হাতপাখার দাম ১০০ থেকে ৩০০ টাকা। একটি বড় পাটি বানাতে প্রায় এক সপ্তাহ সময় লাগে। তিনি বিছানার, নামাজ পড়ার এবং বসার জন্য তিন ধরনের পাটি তৈরি করেন।

আছুমা বেগম জানিয়েছেন যে, তার বাবা মারা যাওয়ার পর মা একা তাদের সংসারের দায়িত্ব পালন করে এসব পণ্য তৈরি করে। বর্তমানে মা-মেয়ের সংসারের আয়ের একমাত্র উৎস এ ব্যবসা। এখন তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যবসা আরও বড় করার স্বপ্ন দেখছেন।

অন্যান্য তথ্য: প্রদত্ত তথ্যে ফুলতেরা বেগমের বয়স, জাতিগত পরিচয় এবং সম্প্রদায় সম্পর্কে কোন তথ্য নেই। আমরা যত তথ্য পাবো, আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • ফুলতেরা বেগম সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার লক্ষ্মীবাউর গ্রামের একজন গ্রামীণ নারী।
  • প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি বাঁশ-বেত দিয়ে হস্তশিল্প তৈরি করে বিক্রয় করেন।
  • তার প্রধান পণ্য হলো শীতলপাটি, হাতপাখা, ঝুড়ি এবং মাছ ধরার চাঁই।
  • গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট প্রচারাভিযানের উঠান বৈঠকে অংশগ্রহণের পর তিনি ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন।
  • তার মেয়ে আছুমা বেগম তার ব্যবসায় সহযোগিতা করে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ফুলতেরা বেগম

ফুলতেরা বেগম সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার লক্ষ্মীবাউর গ্রামের একজন নারী যিনি বাঁশ ও বেত দিয়ে হস্তশিল্প তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি ‘ইন্টারনেটের দুনিয়া সবার’ প্রচারাভিযানের উঠান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে তার ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেন।