সুনামগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি দেশের 'এ' শ্রেণীর জেলা। প্রাচীন কামরূপ বা প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্যের অংশ ছিল বলে মনে করা হয়। জনৈক মোগল সিপাহী সুনামুদ্দিনের নামানুসারে জেলার নামকরণ হয়। ১৮৭৭ সালে মহকুমা, এবং ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত হয়।
ছাতক, সুনামগঞ্জের একটি উপজেলা, যা 'শিল্পনগরী' নামে পরিচিত। ব্রিটিশ আমল থেকে এখানে ব্যাপক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। যোগাযোগের সুবিধার জন্য এটি সিলেট ও সুনামগঞ্জ শহরের কাছাকাছি অবস্থিত। উপজেলার আয়তন ৪৪০.৪ বর্গকিলোমিটার। উত্তরে ভারতের মেঘালয়, দক্ষিণে জগন্নাথপুর, পূর্বে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট সদর ও বিশ্বনাথ, এবং পশ্চিমে শান্তিগঞ্জ ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত। ১৯০৮ সালে থানা গঠিত হয় (পূর্ণাঙ্গরূপ লাভ করে ১৯২২ সালে), এবং ১৯৮২ সালে উপজেলায় রূপান্তরিত হয়।
ছাতকের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। ১৭৮৮ সালে গঙ্গা সিংহ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। মুক্তিযুদ্ধে, ১৯৭১ সালের ২৮ এপ্রিল পাকসেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ছাতকের কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের স্মারক। ২০০১ সালে ছাতকের জনসংখ্যা ছিল ৩,৯৭,৬৪২ জন।
ছাতকের অর্থনীতি কৃষি, শিল্প, ও ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। ধান, তিল, তিসি, শাকসবজি, কমলালেবু, আনারস, লিচু প্রধান ফসল ও ফল। ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, আইনপুর সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, ও আকিজ ফ্যাক্টরি (প্লাস্টিকের বোতল) উল্লেখযোগ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান। যোগাযোগ ব্যবস্থায় পাকা ও কাঁচা রাস্তা, রেলপথ, এবং নদীপথ রয়েছে।
সুনামগঞ্জ ও ছাতকের ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক তথ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। লক্ষ্মীবাউর সম্পর্কে এই লেখায় কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের পরবর্তীতে জানাব।