ফেনীতে সংঘটিত এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত ফলেশ্বর এলাকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হল। ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাতে ফেনী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফলেশ্বর এলাকায় এক ষাটোর্ধ্ব গৃহপরিচারিকা মাসুদা বেগমের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল ছিল সাবেক পৌর কাউন্সিলর গোলাম ফারুক ও তার ভাই গোলাম কিবরিয়া বকুলের বাড়ি। মাসুদা বেগম দীর্ঘদিন ধরে এই বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, রাতে চিৎকারের শব্দ শুনে উপর তলায় থাকা বকুলের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার নিচে নামলে, একজন যুবক ছুরি হাতে ঘর থেকে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে পান। পরে মাসুদা বেগমের রক্তাক্ত মরদেহ ঘরের সোফার নিচে পাওয়া যায়। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু করে। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে ওই যুবকের ঘটনার সময় (রাত ৯:১৩-৯:১৭) ভবনে প্রবেশ ও পলায়নের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। পুলিশ অজ্ঞাত যুবককে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। মাসুদা বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
ফলেশ্বর এলাকাটি ফেনী শহরতলীর একটি আবাসিক এলাকা হলেও, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এলাকাটিকে সংবাদ শিরোনামে এনেছে। এই ঘটনার পর, এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।