প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি): বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৬ সালের ১৮ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত পিআইবি তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই প্রতিষ্ঠানটি সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ, গবেষণা, প্রকাশনা এবং গণমাধ্যম সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচী পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
- *পিআইবি'র লক্ষ্য ও কার্যক্রম:**
পিআইবি'র প্রধান লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং গণমাধ্যমের মানোন্নয়ন সাধন করা। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য পিআইবি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ কোর্স, কর্মশালা, সংলাপ ও সেমিনার আয়োজন করে। এছাড়াও, পিআইবি গণমাধ্যমের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি সংরক্ষণ করে। পিআইবি'র গ্রন্থাগারে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত বই, পত্রিকা ও অন্যান্য প্রকাশনা সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও, পিআইবি নিয়মিতভাবে ‘নিরীক্ষা’ নামে একটি সাময়িকী প্রকাশ করে।
- *প্রশিক্ষণ ও গবেষণা:**
২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত পিআইবি ৭২১টি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে, যেখানে ১৮,৩৫৭ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেছে। প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তুতে বুনিয়াদি সাংবাদিকতা, সম্পাদনা, বিভিন্ন বিশেষায়িত সাংবাদিকতা (শিশু, নারী, অর্থনীতি, খেলাধুলা ইত্যাদি), তথ্যপ্রযুক্তি ও অনলাইন রিপোর্টিং, ফটো সাংবাদিকতা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। গবেষণা বিভাগ গণমাধ্যমের বিভিন্ন দিক, সমাজে এর প্রভাব ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করে। ২০১১ সাল পর্যন্ত ৭৫টি গবেষণা প্রকল্প সম্পন্ন করেছে এই বিভাগ।
- *আন্তর্জাতিক সহযোগিতা:**
পিআইবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন কমনওয়েলথ প্রেস ইউনিয়ন, টমসন ফাউন্ডেশন, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর জার্নালিজম ইত্যাদির সাথে সহযোগিতা করে।
- *উল্লেখযোগ্য পুরষ্কার ও সম্মাননা:**
পিআইবি মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকদের সম্মাননা প্রদান করে এবং ‘পিআইবি-সোহেল সামাদ স্মৃতি ট্রাস্ট’ ফান্ডের আওতায় কৃতী সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করে।
- *সারসংক্ষেপ:**
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রকাশনার মাধ্যমে পিআইবি বাংলাদেশের সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং গণমাধ্যমের মানোন্নয়নে অবদান রাখছে।