বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আগে ও পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। পুলিশ এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এসব ঘটনার পিছনে কি মূল কারণ তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য:
- সময়কাল: ৫ আগস্ট থেকে ৯ অক্টোবর, ২০২৪।
- ঘটনার সংখ্যা: ৪৬ টি (প্রতিমা ভাঙচুর, পূজার সামগ্রী চুরি, সন্দেহভাজন ঘোরাঘুরি, মারামারি ইত্যাদি)।
- মামলার সংখ্যা: ১৭ টি।
- সাধারণ ডায়েরি (জিডি): ২১ টি।
- গ্রেপ্তার: ১৯ জন (মানসিক ভারসাম্যহীন, মাদকাসক্ত, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি সহ)।
- প্রতিমা ভাঙচুরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা: রংপুরের কোতোয়ালি, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সুনামগঞ্জের দোয়ারবাজার, পাবনা, নড়াইল, কিশোরগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ সদর, বরিশালের বাকেরগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নীলফামারীর ডিমলা, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, খাগড়াছড়ির রামগড়, রাজবাড়ী সদর, রাজবাড়ীর কালুখালী, সাতক্ষীরার আশাশুনি, রংপুরের গঙ্গাচড়া, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, ফরিদপুরের ভাঙ্গা।
- পুলিশ মোতায়েন: ৭৫,০০০ পুলিশ ও ২১২,১৯২ আনসার।
- পূজা মণ্ডপের সংখ্যা: ৩২,৬৬৬ টি।
বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিক্রিয়া: বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সরকারের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য: পুলিশ এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং দুর্গাপূজার নিরাপত্তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি: ভবেশ চন্দ্র দাস (সুন্দরগঞ্জ), দয়াল চন্দ্র সরকার ও অমিত মণ্ডল (মানিকগঞ্জ), রফিকুল (রংপুর)।