ঢাকার প্রগতি সরণি: যানজটের কারণ ও সমাধানের চেষ্টা
ঢাকা শহরের যানজট একটি চিরায়ত সমস্যা। এই যানজটের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়কে, যার মধ্যে প্রগতি সরণি অন্যতম। প্রগতি সরণি রামপুরা থেকে কুড়িল ফ্লাইওভার পর্যন্ত বিস্তৃত একটি প্রধান সড়ক। এই সড়কটিতে প্রতিদিনই তীব্র যানজটের সম্মুখীন হতে হয় যাত্রী ও পথচারীদের।
যানজটের কারণ:
প্রগতি সরণিতে যানজটের অনেকগুলো কারণ রয়েছে। রিকশা ও ভ্যানের অবাধ চলাচল, সড়কের অপ্রশস্ততা, অপরিকল্পিত ইউ-টার্ন, যথাযথ ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েনের অভাব, ওভারব্রিজের অভাব, ও রাস্তার খোঁড়াখুঁড়ি - এগুলো যানজটের প্রধান কারণ। এছাড়াও, অনিয়ন্ত্রিত পার্কিং এবং পথচারীদের অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা পারাপার ও যানজটের মাত্রা বাড়ায়।
সমাধানের চেষ্টা:
যানজট নিরসনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ডিএনসিসি প্রগতি সরণির কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মালিবাগ এবং মিরপুর রোডের গাবতলী থেকে ধানমন্ডি-২৭ নম্বর পর্যন্ত রিকশা ও ভ্যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়াও, ডিএনসিসি সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধ দখল সরিয়ে নিতে উদ্যোগ নিয়েছে। যানজট লাঘবে বিআরটিসি এবং বাস মালিক সমিতিকে পর্যাপ্ত গণপরিবহন চালু করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রগতি সরণিতে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা:
প্রগতি সরণিতে বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনা এবং আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে। একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে একজন নারী কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় রাস্তা অবরোধের কারণে প্রগতি সরণিতে যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। আবার, কোটা সংস্কারের দাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে প্রগতি সরণি এবং আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।
উপসংহার:
প্রগতি সরণির যানজট সমাধানের জন্য সামগ্রিক ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার প্রয়োজন। সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উন্নতীকরণ, এবং জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। তবে, এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে আপডেট জানিয়ে দেবো।