পেন্চাক সিলাত: এক ঝলক
পেন্চাক সিলাত এক প্রাচীন মার্শাল আর্ট যা ইন্দোনেশিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী যুদ্ধকলা। এটি শুধুমাত্র আত্মরক্ষার কৌশল নয়, বরং শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধির একটি মাধ্যম। পেন্চাক সিলাতের বিভিন্ন শৈলী ও কৌশল রয়েছে, যা ক্রীড়াবিদদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। জামিলা খাতুনের সাফল্যের কাহিনী পেনচাক সিলাতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
জামিলা খাতুনের পেনচাক সিলাত যাত্রা: বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট মার্শাল আর্ট ক্রীড়াবিদ জামিলা খাতুন, পেনচাক সিলাতসহ জুডো, উশু, এবং জুজুৎসুতে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক জয় করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে, আমেরিকার কলোরাডোতে অনুষ্ঠিত টি-৫ লিবার্টি চ্যালেঞ্জ আন্তর্জাতিক পেনচাক সিলাত চ্যাম্পিয়নশিপে উর্ধ্ব-৭০ কেজি এবং ওপেন ক্যাটাগরিতে দুটি ব্রোঞ্জপদক জয় করেছেন।
অন্যান্য সাফল্য: জুজুৎসুতে তার অসাধারণ সাফল্যের জন্য তিনি বিশ্ব জুজুৎসুতে নারী র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে আছেন। ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর 'প্রেসিডেন্ট আনসার (সেবা) পদক' লাভ করেন। তিনি ৩৭টি স্বর্ণ, ২৭টি রৌপ্য এবং ৩২টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। তার লক্ষ্য হলো গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখানো।
পেনচাক সিলাতের গুরুত্ব: পেনচাক সিলাত শুধুমাত্র একটি ক্রীড়া নয়, এটি একটি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। এটি শারীরিক সুস্থতা, আত্মরক্ষা এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির একটি অসাধারণ মাধ্যম। জামিলা খাতুনের মতো ক্রীড়াবিদদের সাফল্য পেনচাক সিলাতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি ও এর প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।