পার্টনার প্রকল্প

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:৪৮ পিএম

বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ’ (পার্টনার) নামে একটি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় ৭,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হতে যাওয়া এই প্রকল্পটি কৃষি উন্নয়নে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বৃহৎ প্রকল্প। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পটি ৬৪টি জেলার ৪৯৫টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো দেশের কৃষিকে টেকসই এবং নিরাপদ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরিত করা, যার মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পের অধীনে উত্তম কৃষিচর্চা, জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল উচ্চ ফলনশীল নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন, উন্নত সেচ ব্যবস্থা, এবং ডিজিটাল কৃষি সেবার সম্প্রসারণের মতো কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পটির অর্থায়নে সরকার ১১৫১ কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাংক ৫৩০০ কোটি টাকা এবং ইফাদ ৫০০ কোটি টাকা প্রদান করবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন ৭টি সংস্থা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে, যেখানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর লিড এজেন্সি হিসেবে কাজ করছে। এছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৮টি সংস্থা স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে কাজ করছে।

১১ অক্টোবর ২০২৩, রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তিনি প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। প্রকল্পটির লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে ৩ লাখ হেক্টর ফল ও সবজি আবাদি জমি বৃদ্ধি, ৪ লাখ হেক্টর আবাদি জমি বৃদ্ধি, ১ লাখ হেক্টর নতুন আবাদি জমি সেচের আওতায় আনা এবং দুই কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩২১টি কৃষক পরিবারকে ‘কৃষক স্মার্ট কার্ড’ প্রদান।

মূল তথ্যাবলী:

  • ৭,০০০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প
  • ২০২৩-২০২৮ সময়সীমা
  • ৬৪ জেলায় ৪৯৫ উপজেলায় বাস্তবায়ন
  • খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
  • ডিজিটাল কৃষি সেবা সম্প্রসারণ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - পার্টনার প্রকল্প

জানুয়ারি ৩, ২০২৫

‘পার্টনার’ প্রকল্পে অডিটের নামে টাকা উত্তোলনের ঘটনা ঘটেছে।