কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:৪৯ পিএম

বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অবদান অপরিসীম। এই প্রতিষ্ঠানটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে এবং দেশের কৃষকদের উন্নত কৃষি প্রযুক্তি, জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও জীবিকা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডিএই-এর ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। ১৮৭০ সালে রাজস্ব বিভাগের অংশ হিসেবে কৃষি বিভাগের সূচনা হলেও, ১৯০৬ সালে এটি স্বতন্ত্র বিভাগ হিসেবে গঠিত হয়। ১৯১৪ সালে প্রতিটি জেলায় একজন করে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়, যদিও তখন কৃষি বিজ্ঞানে দক্ষ কর্মকর্তা ছিলেন না। ১৯৪৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি কলেজ থেকে স্নাতকরা কৃষি বিভাগে যোগদানের পর কৃষি সম্প্রসারণের বাস্তবিক কাজ শুরু হয়। ১৯৮২ সালে ফসল প্রযুক্তি সম্প্রসারণে নিয়োজিত ছয়টি সংস্থাকে একত্রিত করে বর্তমান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গঠন করা হয়।

ডিএই বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষকদের সেবা প্রদান করে। এর মধ্যে রয়েছে উন্নত জাতের বীজ, সার, কীটনাশক ব্যবহার, উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি, ফসল সংরক্ষণ এবং বাজারজাতকরণের প্রশিক্ষণ প্রদান। ডিএই-এর কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে তাদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে এবং কৃষি সংক্রান্ত তথ্য ও প্রযুক্তি প্রদান করে। প্রশিক্ষণ, পরিদর্শন এবং দলীয় সম্প্রসারণ পদ্ধতির মাধ্যমে ডিএই দেশের কৃষি ও কৃষককে সেবা প্রদান করে চলেছে।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য এবং ১৯৫০, ১৯৫৬, ১৯৬১, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৭২, ১৯৭৫, ১৯৮২, ১৯৯০, ১৯৯৬ সালের উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলি সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৮৭০ সালে রাজস্ব বিভাগের অংশ হিসেবে কৃষি বিভাগের সূচনা।
  • ১৯০৬ সালে স্বতন্ত্র কৃষি বিভাগ প্রতিষ্ঠা।
  • ১৯১৪ সালে প্রতিটি জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিয়োগ।
  • ১৯৮২ সালে বর্তমান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গঠন।
  • কৃষকদের উন্নত কৃষি প্রযুক্তি, জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর

জানুয়ারি ৩, ২০২৫

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক তদন্ত কমিটির প্রধান।