পত্নীতলা উপজেলা

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৮:১৬ পিএম
নামান্তরে:
Patnitala Upazila
পত্নীতলা
পত্নীতলা উপজেলা

পত্নীতলা উপজেলা: নওগাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ

পত্নীতলা উপজেলা রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। এটি ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও কৃষি সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। এই লেখাটি পত্নীতলা উপজেলার ঐতিহাসিক পটভূমি, ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, অর্থনীতি, এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরবে।

ইতিহাস: ১৭৯৩ সালে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার একটি থানা হিসেবে পত্নীতলার প্রতিষ্ঠা। পরবর্তীতে পশ্চিম দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত হলেও ১৯১৮ সালে ধামইরহাট থানা গঠিত হয় পত্নীতলা থানার উত্তর পূর্বাঞ্চল নিয়ে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর বগুড়া, এবং পরে ১৯৪৯ সালে রাজশাহী জেলার নওগাঁ মহকুমার সাথে যুক্ত হয়। ১৯৮৩ সালে উপজেলা প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে পত্নীতলা থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন জনশ্রুতি প্রচলিত আছে, যেমন পাঠান জমিদারদের জমি পত্তন, কালীমন্দির পত্তন, অথবা পাটনী সম্প্রদায়ের বসতি।

ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা: পত্নীতলা উপজেলার উত্তরে ধামইরহাট উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে মহাদেবপুর উপজেলা, পূর্বে বদলগাছী উপজেলা, এবং পশ্চিমে সাপাহার ও পোরশা উপজেলা অবস্থিত। আত্রাই ও শিব নদী এ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জলাশয়।

জনসংখ্যা ও জনসংখ্যার ঘনত্ব: ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পত্নীতলার জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২,৩১,৯০০। লোক সংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ৬০৭। বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠী যেমন সাঁওতাল, ওরাওঁ, মাহালী, মুন্ডা প্রভৃতি এখানে বসবাস করে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পত্নীতলা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ৩০ নভেম্বর, ১৯৭১ সালে নিরমইল ইউনিয়নের হালিমনগর/হালিমডাঙ্গায় পাকবাহিনী এবং স্থানীয় দোসরদের হাতে প্রায় ৫০ জন আদিবাসী ও কৃষক নিহত হন। মল্লিকপুর এবং ডাসনগরেও বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যায়।

অর্থনীতি: পত্নীতলা মূলত একটি কৃষিপ্রধান এলাকা। ধান, গম, আলু, আখ, পিঁয়াজ, এবং বিভিন্ন শাকসবজি এখানকার প্রধান কৃষি ফসল। অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে মৎস্যচাষ, গবাদিপশু পালন, এবং কুটির শিল্প।

শিক্ষা: উপজেলায় কয়েকটি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে নজিপুর সরকারি কলেজ, নজিপুর মহিলা কলেজ, কাঁটাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, এবং নজিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।

প্রশাসন: পত্নীতলা উপজেলার প্রশাসনিক কাজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। উপজেলায় একটি পৌরসভা এবং ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য স্থান: দিবর দীঘি ও ভীমের পাণ্ঠি ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

আরও তথ্য: পত্নীতলা উপজেলা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য, আপনাকে স্থানীয় প্রশাসন অথবা সংশ্লিষ্ট সরকারী ওয়েবসাইটগুলিতে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৭৯৩ সালে দিনাজপুর জেলার একটি থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত
  • ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রুপান্তর
  • আত্রাই ও শিব নদী প্রধান জলাশয়
  • কৃষিপ্রধান অর্থনীতি
  • মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
  • দিবর দীঘি ও ভীমের পাণ্ঠি ঐতিহাসিক স্থান

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - পত্নীতলা উপজেলা

০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

পত্নীতলা উপজেলায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।