নিয়ামতপুর উপজেলা

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:৩৪ এএম

নিয়ামতপুর উপজেলা: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা হল নিয়ামতপুর। উত্তরে পোরশা, দক্ষিণে রাজশাহীর তানোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, পূর্বে মান্দা ও মহাদেবপুর এবং পশ্চিমে গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলার সীমানা নিয়ামতপুরকে ঘিরে রেখেছে। ৪৪৯.০৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলায় ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ২৪৮,৩৫১ জন বাসিন্দা বসবাস করেন।

ঐতিহাসিক পটভূমি: ঐতিহ্য অনুসারে, গৌড় বাংলার রাজধানী থাকাকালীন মহামারীর সময় অনেক লোক বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। এই সময় একটি পরিবার বর্তমান নিয়ামতপুরে (তখনকার নাম হোকমাডাংগা) এসে বসতি স্থাপন করে। একজন ধর্মপ্রাণ দরবেশের আগমনে এখানকার লোকজন তাকে নজরানা ও খাদ্য দান করে। দরবেশের আশীর্বাদে এই স্থানের নামকরণ হয় নিয়ামতপুর।

অর্থনীতি: নিয়ামতপুরের অর্থনীতি প্রধানত কৃষির উপর নির্ভরশীল। ধান এখানকার প্রধান ফসল। নওগাঁ জেলার অন্যতম ধানের বাজার নিয়ামতপুর থানার ছাতড়া বাজারে অবস্থিত। অন্যান্য ফসলের মধ্যে গম, আলু ও বিভিন্ন শাকসবজি উল্লেখযোগ্য। কুটিরশিল্প, যেমন স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, সূঁচিশিল্প ও বাঁশের কাজও এখানকার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশাসন: নিয়ামতপুর থানা গঠিত হয় ১৯১৮ সালে এবং ১৯৮৩ সালে এটি উপজেলায় পরিণত হয়। এই উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে: বাহাদুরপুর, ভাবিচা, চন্দন নগর, হাজীনগর, নিয়ামতপুর, পারাইল, রসুলপুর এবং শ্রীমন্তপুর।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য: উপজেলায় ৫টি কলেজ, ৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক এবং কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নিয়ামতপুর উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাবিচা ও নিয়ামতপুর গ্রামে পাকবাহিনীর অত্যাচারের ঘটনা ইতিহাসে স্মরণীয়।

আরও তথ্য: নিয়ামতপুর উপজেলা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর আদমশুমারি রিপোর্ট এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তথ্যাদি পর্যালোচনা করা যেতে পারে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আরও তথ্য সংযোজন করে এই লেখা আরও সমৃদ্ধ করা সম্ভব হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • নিয়ামতপুর উপজেলা নওগাঁ জেলার অন্তর্গত।
  • এই উপজেলার আয়তন ৪৪৯.০৯ বর্গ কিলোমিটার।
  • ধান চাষ এখানকার প্রধান অর্থনৈতিক কার্যক্রম।
  • ১৯১৮ সালে থানা, ১৯৮৩ সালে উপজেলায় রূপান্তর।
  • মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।