নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি প্রতিষ্ঠান যা ২০০০ সালের ৮ নম্বর আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর অধীনে গঠিত হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনালের প্রধান কাজ হলো নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও নির্যাতনের মামলা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বিচার করা। আইনটি ধর্ষণ, অপহরণ, যৌতুক, দহনকারী পদার্থ নিক্ষেপ, যৌন নিপীড়ন এবং অন্যান্য গুরুতর অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখেছে। ট্রাইব্যুনাল ১৮০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে ভুক্তভোগীরা দ্রুত ন্যায়বিচার পেতে পারে।
প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। এই ট্রাইব্যুনালগুলোতে একজন বিচারক থাকেন এবং সরকার জেলা ও দায়রা জজদের মধ্য থেকে বিচারক নিয়োগ করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রমে পাবলিক প্রসিকিউটর মামলা পরিচালনা করেন। আইনটিতে ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণের বিধান, মিডিয়ার জন্য বিধিনিষেধ, ধর্ষণজনিত সন্তানের সুরক্ষা, মিথ্যা মামলা দায়েরের শাস্তি, ডিএনএ পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০০৩ এবং ২০১৩ সালে আইনে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে যা শাস্তি আরও কঠোর করেছে এবং ভুক্তভোগীদের অধিকার রক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ট্রাইব্যুনালের লক্ষ্য হলো নারী ও শিশুদের নির্যাতন রোধ এবং অপরাধীদের দ্রুত ও কঠোর শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে একটি নিরাপদ ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠন করা।