নাজমুন আরা সুলতানা

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৫ এএম

বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা: বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এক অম্লান নক্ষত্র। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী মুনসিফ, প্রথম নারী জেলা জজ এবং সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে অমরত্ব অর্জন করেছেন। ১৯৫০ সালের ৮ই জুলাই মৌলভীবাজারে জন্মগ্রহণকারী নাজমুন আরা সুলতানা শৈশব কাটান ময়মনসিংহে। তার পিতা আবুল কাশেম মঈনুদ্দীন এবং মাতা বেগম রশীদা সুলতানা দীন। ১১ বছর বয়সে পিতার মৃত্যুর পর, মায়ের প্রচণ্ড উৎসাহ ও সমর্থনে তিনি তার শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখেন। ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, মুমিনুন্নেসা উইমেন্স কলেজ থেকে এইচএসসি এবং আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন। ১৯৭২ সালে মোমেনশাহী ল কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর ময়মনসিংহ জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে নারীদের বিচারক হওয়ার পথ উন্মুক্ত হলে, তিনি ১৯৭৫ সালে বিসিএস (বিচার বিভাগ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের প্রথম নারী মুনসিফ হিসেবে যোগদান করেন। খুলনা, নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে দায়িত্ব পালনের পর ১৯৮২ সালে সাব-জজ এবং ১৯৯১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা জজ হিসেবে কর্মরত হন। ২০০০ সালের ২৮ মে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হন এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। ৯ বছর হাইকোর্টে কর্মরত থাকার পর ২০১১ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারী তিনি সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ২০১৭ সালের ৭ই জুলাই অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ উইমেন জাজেস অ্যাসোসিয়েশনের (BWJA) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব উইমেন জাজেসের (IAWJ) দীর্ঘদিন সদস্য ছিলেন। বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন, যার মধ্যে ফতোয়া অবৈধ ঘোষণা সংক্রান্ত রায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার স্বামী কাজী নুরুল হক বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের সাবেক সচিব ছিলেন। তাদের দুই পুত্র রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • বাংলাদেশের প্রথম নারী বিচারক
  • বাংলাদেশের প্রথম নারী জেলা জজ
  • সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রথম নারী বিচারপতি
  • বাংলাদেশ উইমেন জাজেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
  • ফতোয়া অবৈধ ঘোষণা সংক্রান্ত রায়ের জন্য বিখ্যাত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।