গ্রিসের সাবেক রাজপরিবারের সদস্যদের নাগরিকত্ব বঞ্চনার ঘটনা ৫০ বছর পর আবারও আলোচনায় এসেছে। ১৯৯৪ সালে রাজকীয় সম্পত্তি নিয়ে সরকারের সাথে বিরোধের জেরে প্রয়াত রাজা দ্বিতীয় কনস্টান্টাইন এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের গ্রীক নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সরকারের দাবি ছিল, রাজা তাঁর বংশধরদের জন্য গ্রীক সিংহাসনের কোনো অধিকার ত্যাগ করতে রাজি ছিলেন না। ৮২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণকারী রাজার আত্মীয়রা সম্প্রতি (১৯ ডিসেম্বর) একটি ঘোষণায় প্রজাতন্ত্রকে স্বীকৃতি দিয়ে এবং 'ডি গ্রেস' উপাধি গ্রহণ করে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। এই ঘোষণা নিয়ে বামপন্থী রাজনীতিবিদদের মধ্যে বিরক্তি দেখা দিয়েছে, কারণ গ্রীসের আইন উপাধি বা আভিজাত্যকে স্বীকৃতি দেয় না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঐতিহাসিকভাবে ঝুলে থাকা এই বিষয়টি সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। ১৯৭৪ সালে গণভোটের মাধ্যমে গ্রিসে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয় এবং রাজপরিবার কয়েক দশক নির্বাসনে ছিলেন। তবে ১৯৯৪ সালে রাজকীয় সম্পত্তি নিয়ে আইনি লড়াইয়ের সময় তাদের নাগরিকত্বও কেড়ে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দ্বিতীয় কনস্টানটাইন এবং প্রাক্তন রানী অ্যান-মেরির পাঁচ সন্তানসহ পরিবারের ১০ জন সদস্য নাগরিকত্ব চেয়েছেন।
নাগরিকত্ব বঞ্চনা
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯৯৪ সালে গ্রিসের রাজপরিবারের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়।
- রাজকীয় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে।
- ৫০ বছর পর রাজপরিবারের সদস্যরা প্রজাতন্ত্রকে স্বীকৃতি দিয়ে নাগরিকত্বের আবেদন করে।
- বামপন্থী দলের বিরোধিতা সত্ত্বেও সরকার আবেদন বিবেচনা করছে।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।