নন্দিতা দাস: একজন অসাধারণ অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা
নন্দিতা দাস (জন্ম: ৭ নভেম্বর, ১৯৬৯) ভারতের একজন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও পরিচালক। তিনি মাত্র অভিনয়ের মাধ্যমেই নয়, পরিচালনার ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ৪০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি দশটি ভিন্ন ভাষায় কাজ করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ফায়ার (১৯৯৬), আর্থ (১৯৯৮), বাবন্দর (২০০০), কান্নাথিল মুথামিত্তল (২০০২), আজাগি (২০০২), বিফোর দ্য রেইন্স (২০০৭) ইত্যাদি। তার পরিচালনায় নির্মিত 'ফিরাক' (২০০৮) ছবিটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহু পুরস্কার অর্জন করে। 'মান্তো' (২০১৮) ছবিটির মাধ্যমে তিনি আবারও সবার মন জয় করে নেন।
শুধু চলচ্চিত্রেই নয়, নন্দিতা দাস নানা সামাজিক উদ্যোগের সঙ্গেও যুক্ত। তিনি ‘ডার্ক ইজ বিয়ুটিফুল’ এবং ‘ইন্ডিয়াজ গট কালার’ ক্যাম্পেইনের মুখ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি 'নন্দিতা দাস ইনিশিয়েটিভস' নামে একটি প্রতিষ্ঠানও চালু করেছেন যা সামাজিকভাবে সচেতন সিনেমা নির্মাণে কাজ করে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণকারী নন্দিতা দাস প্রধানত দিল্লিতে বেড়ে উঠেছেন। তিনি সর্দার প্যাটেল বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি মিরান্ডা হাউস থেকে ভূগোল এবং দিল্লি স্কুল অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক থেকে সামাজিক কাজে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা:
তার চলচ্চিত্র কাজের জন্যে তিনি ফরাসি সরকার কর্তৃক ‘অদ্রে দেস আর্টস এট দেস লেটারস’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তিনি প্রথম ভারতীয় যিনি শিল্পকলায় অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক নারী ফোরামের খ্যাতি অর্জন করেছেন। ক্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জুরি হিসেবেও দুবার কাজ করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন:
নন্দিতা দাসের পিতা জাতিন দাস একজন শিল্পী এবং মাতা বর্ষা দাস লেখিকা। তিনি দুবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, দুটি বিবাহই বিচ্ছেদে পর্যবসিত হয়েছে। তিনি এক ছেলে Vihaan-এর জননী।
সামাজিক কর্মকাণ্ড:
নন্দিতা দাস শিশু অধিকার, এইচআইভি/এইডস সচেতনতা, নারী নির্যাতন বন্ধ করার জন্য কাজ করেছেন। জেএনইউ বিক্ষোভ ও মিটু আন্দোলনের সমর্থনেও তিনি সোচ্চার হয়েছেন।
উপসংহার:
নন্দিতা দাস কেবলমাত্র একজন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও পরিচালক নন, তিনি একজন সামাজিক কর্মী, একজন অনুপ্রেরণা। তার কাজ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়।