রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ধামাইরহাট বাজার: দুটি কমিটির জটিলতা
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ধামাইরহাট বাজারকে ঘিরে সম্প্রতি একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ৮ ও ১১ জুলাই, দুটি পৃথক আহবায়ক কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাজারটি সরকারি হওয়ায় এই কমিটিগুলোর কোনো আইনি মূল্য নেই এবং বাজার সমিতির কার্যক্রম ইতিমধ্যেই অকার্যকর।
প্রথম কমিটিতে নুরুল ইসলাম নুরুউদ্দীনকে আহবায়ক এবং ওয়াকিল আহমদকে সদস্য সচিব করা হয়, যেখানে ১৫ জন সদস্য ছিলেন। দ্বিতীয় কমিটিতে ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহ আলমকে উপদেষ্টা করে ১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে গঠন করা হয়। এই পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠনের ফলে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্ধ সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র ও ব্যবসায়ীদের মতে, আগের কমিটির কাছে বাজারের কিছু অর্থ জমা আছে। নতুন কমিটিগুলো মূলত এই অর্থ উদ্ধারের জন্যই গঠিত হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আগের কমিটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, তারা আলোচনার মাধ্যমে অর্থ হস্তান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
৮ জুলাইয়ের কমিটির একজন সদস্য জানান, তারা বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এই কমিটি গঠন করেছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করেছে। তাদের লক্ষ্য বাজারে সংঘটিত দুর্নীতির তদন্ত করা এবং বাজার সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা। অন্যদিকে ১১ জুলাইয়ের কমিটির একজন সদস্য জানান, আগের কমিটি সবার অজান্তে গঠিত হয়েছে এবং বাজারে বেশি পরিমাণ অর্থ জমা আছে। তাদের লক্ষ্য হলো এই অর্থ সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেয়া।
উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দিবাকর দাশ মান্না জানান, বাজারটি দীর্ঘদিন অকার্যকর রয়েছে এবং দুইবার নোটিশ বাতিল হয়েছে। আগের কমিটি তাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। বাজার সমিতি পুনরায় গঠন করতে হলে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন প্রয়োজন এবং এরপর উপজেলা থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, এই বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন পর্যালোচনা করবে।