দক্ষিণখান

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২:০৪ পিএম

দক্ষিণখান: ঢাকার উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ থানা ও পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ

ঢাকা মেট্রোপলিটন উত্তরের অন্তর্গত দক্ষিণখান, একসময় একটি আদর্শ ইউনিয়ন পরিষদ ছিল। ২০০৬ সালে এটিকে থানায় উন্নীত করা হয়। নবাব আলীবর্দী খানের বংশধরদের সাথে সম্পর্কিত ‘খান’ উপাধি থেকে এই এলাকার নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। প্রায় ১১.০৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই থানার অবস্থান ২৩°৫০´ থেকে ২৩°৫৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২৪´ থেকে ৯০°২৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। উত্তরে গাজীপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে খিলক্ষেত থানা, পূর্বে উত্তরখান থানা এবং পশ্চিমে বিমানবন্দর ও উত্তরা থানা দক্ষিণখানকে ঘিরে রেখেছে।

জনসংখ্যা ও জনজীবন:

২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, দক্ষিণখানের জনসংখ্যা ছিল ১৭৭৭৬০, যার মধ্যে পুরুষ ৯৯৭৪৩ এবং মহিলা ৭৮০১৭। ধর্মীয় বিভাজন অনুযায়ী, মুসলিম ১৬৯৮১৩, হিন্দু ৬৪৫৫, বৌদ্ধ ৯২১, খ্রিস্টান ২৯৬ এবং অন্যান্য ২৭৫। শিক্ষার হার ৬৮.৮৭%; পুরুষ ৭৩.৫৭% এবং মহিলা ৬৩.০৬%। এখানে ৬৯টি স্কুল ও কলেজ এবং ২৩টি মাদ্রাসা রয়েছে। আনোয়ারা মডেল ডিগ্রি কলেজ এবং দক্ষিণখান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য। জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস হলো চাকুরি (৩৯.২৬%), ব্যবসা (২২.৮৯%), নির্মাণ (৬.৫৮%), এবং পরিবহন (৬.৭৪%)। কৃষির অবদান মাত্র ২.০৬%।

অবকাঠামো ও উন্নয়ন:

দক্ষিণখানে ১৩৫টি মসজিদ এবং ১টি গীর্জা রয়েছে। যোগাযোগের জন্য ২৪.৭৭ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। ৪০টি শিল্প ও কলকারখানা এবং ৮টি বাজার ও ৩২টি শপিং সেন্টার রয়েছে। ডোবাদিয়া বাজার উল্লেখযোগ্য। এলাকার সব মৌজা পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন এবং ৯৫.১৫% পরিবার বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারে। পানীয়জলের উৎস ট্যাপ ও নলকূপ। স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নত হলেও কিছু পরিবার এখনও অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। তৈরি পোশাক দক্ষিণখানের প্রধান রপ্তানি দ্রব্য। ৪টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে এবং ব্র্যাক ও আশার মতো এনজিও কাজ করে।

উত্তরা নগরায়নের সাথে দক্ষিণখানের উন্নয়ন:

উত্তরা নগরায়নের সাথে সাথে দক্ষিণখানেরও বিকাশ ঘটেছে। এলাকায় রিয়েল এস্টেটের বিকাশ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে। আবাসিক প্রকল্প, বাসাবাড়ি এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দক্ষিণখানকে একটি গতিশীল এলাকায় পরিণত করেছে। তুলনামূলক সহনশীল বাসাভাড়া মধ্যবিত্তদের জন্য দক্ষিণখানকে একটি আকর্ষণীয় বাসস্থান করে তুলেছে।

ধারণা করা হয় যে দক্ষিণখানের উন্নয়ন আরও অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি জনসংখ্যার আবাসস্থল হিসেবে গড়ে উঠবে।

দক্ষিণখান (থানা)

["২০০৬ সালে দক্ষিণখান থানা প্রতিষ্ঠিত হয়।", "প্রায় ১১.০৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তন।", "২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ১৭৭৭৬০।", "শিক্ষার হার ৬৮.৮৭%।", "প্রধান রপ্তানি দ্রব্য তৈরি পোশাক।"]

["বাংলাদেশের ঢাকা মেট্রোপলিটন উত্তরে অবস্থিত দক্ষিণখান থানা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।"]

["ব্র্যাক", "আশা"]

[]

["ঢাকা", "গাজীপুর", "খিলক্ষেত", "উত্তরখান", "বিমানবন্দর", "উত্তরা", "ডোবাদিয়া বাজার"]

["দক্ষিণখান", "ঢাকা মেট্রোপলিটন", "থানা", "ইউনিয়ন পরিষদ", "জনসংখ্যা", "শিক্ষা", "অর্থনীতি", "উন্নয়ন"]

মূল তথ্যাবলী:

  • ২০০৬ সালে দক্ষিণখান থানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • প্রায় ১১.০৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তন।
  • ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা ১৭৭৭৬০।
  • শিক্ষার হার ৬৮.৮৭%।
  • প্রধান রপ্তানি দ্রব্য তৈরি পোশাক।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।