কমলনগরের মৎস্য সম্পদের অবনতি ও তুর্য সাহার মন্তব্য
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জেলে, আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশার এক ছায়া নেমে আসে। মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শেষ হওয়ার পরও প্রত্যাশিত মৎস্য সম্পদ না পাওয়ায় তাদের জীবিকার উপর প্রভাব পড়ে। এই পরিস্থিতির জন্য তারা অবৈধ জাল ব্যবহার এবং নদীর নাব্যতার অবনতির দিকে ইঙ্গিত করে।
কমলনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুর্য সাহা এই পরিস্থিতির জন্য প্রধানত জলবায়ুর পরিবর্তন এবং নদীর নাব্যতাকে দায়ী করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, নদীতে জেগে উঠেছে অসংখ্য ডেগাচর-ডুবোচর, যা ইলিশের অবাধ চলাচলের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তিনি আরও জানান, এসব অবৈধ জালের ফলে অতি ক্ষুদ্র মাছও বের হতে পারে না। তার মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, নদীর পরিবেশগত ভারসাম্য ব্যাহত হওয়া এবং অবৈধ জাল ব্যবহার এই মৎস্য সম্পদের অবনতির মূল কারণ।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি মৎস্যসম্পদ সমূলে বিনাশকারী অবৈধ জাল তুলে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তিনিও তুলে ধরেন। এই ঘটনাটি কমলনগরের মৎস্য সম্পদের উপর জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের অসচেতনতায় সৃষ্ট ঝুঁকির একটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই সমস্যার সমাধানে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট।