তাহিরপুরের সেতু(গুলি): একটি দ্ব্যর্থতা নিরসন
তাহিরপুর নামটি শুনলেই অনেকের মনে একাধিক সেতুর কথা ভেসে উঠতে পারে। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় কয়েকটি সেতু বিদ্যমান। তাই তাহিরপুর সেতু বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, সেটা পরিষ্কার করা জরুরী। এই নিবন্ধে আমরা তাহিরপুরের দুটি প্রধান সেতু সম্পর্কে আলোচনা করবো:
১. শান্তিপুর খালের উপর অচল সেতু:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বাদাঘাট-চাঁনপুর সড়কের উপর শান্তিপুর নদীর উপর অবস্থিত একটি সেতু। ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এটি নির্মিত হলেও, সংযোগ সড়কের অভাবে এটি এখনও অচল রয়েছে। এই সেতুটি বড়ছড়া, চারাগাও, বাগলী শুল্কবন্দরসহ ১৫-২০টি গ্রামের লোকজনের যাতায়াতে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারভেজ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছিল।
২. যাদুকাটা নদীর উপর ‘শাহ আরেফিন (রা.)-অদ্বৈত মহাপ্রভু মৈত্রী সেতু’:
এটি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বিন্নাকুলি বাজার এলাকায় যাদুকাটা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বৃহৎ সেতু। প্রায় ৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডি’র ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এর নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়। এটি জেলার সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু হবে (৭৫০ মিটার)। তমা কনস্ট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এটি নির্মাণ করছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, পর্যটনের বিকাশ ও সীমান্ত এলাকার যাতায়াত সহজতর করার লক্ষ্যে এই সেতুটি নির্মিত হচ্ছে।
উভয় সেতু নিয়ে কিছু সাধারণ তথ্য:
- অবস্থান: উভয় সেতুই সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত।
- উদ্দেশ্য: উভয় সেতুই জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের উদ্দেশ্যে নির্মিত হচ্ছে অথবা নির্মিত হয়েছিল।
- সমস্যা: শান্তিপুর খালের সেতুটি সংযোগ সড়কের অভাবে অচল, অন্যদিকে যাদুকাটা নদীর সেতুর নির্মাণ কাজে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দিয়েছে।
তাহিরপুরের এই দুটি সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হলো। কোন সেতু সম্পর্কে আপনার জানার প্রয়োজন তা নির্দিষ্ট করে জিজ্ঞাসা করুন।