বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসলিমা খানম সম্প্রতি দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেছেন। ১৫ মে ২০২৪, বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ তথ্য জানান। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ, জাপান ও সুইডেনের একদল গবেষক ২০২০ সালে শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স গবেষণা প্রকল্প শুরু করেন। ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে দেশি শিং মাছের নমুনা সংগ্রহ করে, ২০২২ সালে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০০ পোনার নমুনা নিয়ে সিকোয়েন্সিং ও জিন শনাক্তকরণের কাজ সম্পন্ন করা হয়। জাপান সোসাইটি ফর দ্য প্রমোশন অব সায়েন্স (জেএসপিএস) এই গবেষণায় অর্থায়ন করে। ২০২৪ সালে গবেষণা সম্পন্ন হয় এবং এর ফলাফল চলতি বছরের মার্চে জাপানিজ সোসাইটি অব ফিশারিজ সায়েন্স আয়োজিত আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়। ৩০০ বিজ্ঞানী গবেষণাটির উপাত্ত অনুমোদন করেন। এই গবেষণায় উদ্ভাবিত ড্রাফট জিনোম ব্যবহার করে পুরুষ ও স্ত্রী শিং মাছ শনাক্ত করা যাবে, যা শুধুমাত্র স্ত্রী শিং মাছ উৎপাদনে সহায়তা করবে। এছাড়াও মাছের বৃদ্ধি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইয়ার বুকস অব ফিশারিজ স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশের ২০২০ ও ২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্বাদুপানিতে মোট উৎপাদিত মাছের ২.৫২% শিং মাছ। স্ত্রী শিং মাছের বৃদ্ধি পুরুষ শিং মাছ থেকে ৪০-৬০% বেশি। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে দেশে আরও বেশি শিং মাছ উৎপাদন সম্ভব হবে এবং এর ফলে দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তাসলিমা খানম
আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৫৭ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাসলিমা খানম দেশীয় শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করেছেন।
- গবেষণাটিতে বাংলাদেশ, জাপান ও সুইডেনের গবেষকরা যুক্ত ছিলেন।
- গবেষণার ফলে পুরুষ ও স্ত্রী শিং মাছ শনাক্ত করা ও মনোসেক্স শিং মাছ উৎপাদন সম্ভব হবে।
- গবেষণার ফলাফল একটি আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে উপস্থাপিত হয়েছে।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - তাসলিমা খানম
তাসলিমা খানম দেশি শিং মাছের জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিষ্কার করেছেন।