তানিয়া খানম নামটি একাধিক ব্যক্তি, সংস্থা অথবা ঘটনার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে তানিয়া খানম সম্পর্কে একটি ব্যাপক নিবন্ধ তৈরি করা হয়েছে:
- *প্রথম তানিয়া খানম:**
রাজধানীর শাহবাগে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মারা যাওয়া এক নারী। তিনি ৩৫ বছর বয়সী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় তাঁর সাথে তাঁর প্রায় দুই বছর বয়সী সন্তান তাসফিয়া ছিল। দুর্ঘটনার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর স্বামী হাসিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের অফিস সহকারী। তাঁদের বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লারহাট থানার কাহালপুর গ্রামে। তানিয়া গ্রামের বাড়িতে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, পরে সন্তানদের দেখাশোনার জন্য শিক্ষকতা ছেড়ে দেন এবং ঢাকায় চলে আসেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি পিজি হাসপাতালের কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরির চেষ্টা করছিলেন।
- *দ্বিতীয় তানিয়া খানম:**
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গ্রেপ্তারকৃত একজন পর্ণোগ্রাফি চক্রের সদস্য। তিনি ৩১ বছর বয়সী। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। এই চক্রের সাথে আরো চারজন জড়িত।
- *তৃতীয় তানিয়া খানম:**
নড়াইলের লাঠিয়াল দলের একজন সদস্য। তিনি ২০১৩ সালে এসএসসি এবং পরে এইচএসসি পাস করেছেন। তিনি লাঠিখেলায় পারদর্শী এবং লাঠিখেলার প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করেন। তিনি ঢাকা লাঠিয়াল একাডেমির প্রশিক্ষক। তাঁর চাচা সর্দার বাচ্চু মিয়া। তিনি এবং মোনালিসা নামের আরেকজন লাঠিয়াল বিয়ে এড়িয়ে পড়াশোনার জন্য ঢাকায় আসেন।
- *চতুর্থ তানিয়া খানম:**
বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী তানিয়া খান। তিনি ২০২৯ সালের ১৩ই মার্চ মারা যান। তিনি ‘সেভ আওয়ার আনপ্রোটেক্টেড লাইফ (সৌল)’ নামক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। বাংলাদেশের জন্য দুর্লভ কিছু পাখি এবং হিমালয়ান মোল নামক স্তন্যপায়ী প্রাণীকে প্রথমবারের মতো রেকর্ড করেন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কাজে তাঁর অবদান অসামান্য ছিল। মরণোত্তর বঙ্গবন্ধু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পদক লাভ করেন।