মালা রানী

গাজীপুরের মামুন নগরটেকের বাসিন্দা মালা রানীর জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। স্বামীর অকালমৃত্যুর পর দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন তিনি। তিনি কাজ পান সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকোর কারখানায়। কিন্তু লুটপাটের কারণে বেক্সিমকোর শিল্প-কারখানা বন্ধ হওয়ায় তিনি বেকার হয়ে পড়েন। আয়ের অভাবে দুই সন্তান নিয়ে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকাই তার কাছে কঠিন হয়ে উঠেছে। ছোট মেয়ের চকোলেটের জন্য বায়নায় মালা রানীর চোখে পানি চলে আসে, এই দৃশ্যই তুলে ধরে চাকরি হারানোর নির্মম বাস্তবতা। তিনি বলেন, 'অকালে স্বামী হারাইলাম। দুই ছেলেমেয়ের দেখাশোনার দায়িত্ব এখন আমার। ওগোর ভবিষ্যতের কথা ভাইবা অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আইছি। ইচ্ছা ছিল লেখাপড়া শিখাইয়া ওগোর মানুষ করমু। কারখানা বন্ধ হইয়া গেল দুই মাস আগে। চাকরি নাই, বেতন নাই, দোকানদারও বাকি দেয় না। প্রতিদিন বাসাভাড়ার জন্য তাগাদা দেয় বাড়িওয়ালা।' তিনি আরও বলেন, 'এখন আমাগোর কী হইব? শুনলাম, কারখানা থাইকা ছয় হাজার ৫০০ টাকা দিব। এই টাকা দিয়া কী করমু? বাসাভাড়া দিমু, না খামু?' মালা রানীর মতো ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবারই তাদের গ্রামে ফিরে গেছে। এলাকার দোকানদাররাও শ্রমিকদের কাছ থেকে পাওনা আদায় করতে পারছে না।

মূল তথ্যাবলী:

  • বেক্সিমকোর কারখানা বন্ধের ফলে মালা রানী বেকার
  • স্বামীহারা মালা রানী দুই সন্তান নিয়ে জীবনযুদ্ধে
  • অর্থের অভাবে চরম দুর্ভোগে মালা রানীর পরিবার
  • বেক্সিমকোর লে-অফের কারণে হাজারো শ্রমিক বেকার

গণমাধ্যমে - মালা রানী

২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

মালা রানী স্বামী হারানোর পর বেক্সিমকোতে চাকরি করে সংসার চালাতেন, কিন্তু কারখানা বন্ধ হওয়ায় তিনি দুর্ভোগে পড়েছেন।